সোনালীনিউজ/এমএএইচ
ঢাকা : দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে চলছে ১৪ দিনের লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব ধরণের অফিস। অন্যান্যবার খোলা থাকলেও এবার কোরবারি ঈদকে সামনে রেখে বন্ধ রাখা হয় শিল্প-কারখানা।
তবে লকডাউনের মধ্যেই ১ আগস্ট থেকে শিল্প-কারখানা খোলা ঘোষণা দেওয়া হয়। কোন ধরণের গনপরিবহন চালু না করে শিল্প-কারখানা খোলার ঘোষণায় বিপাকে পড়ে শিল্প-কারখানার শ্রমিকরা। চাকরি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ফিরতে হচ্ছে রাজধানীতে।
এদিকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গনপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ঢাকায় কর্মমুখী মানুষের চাপের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি ঘাট, সদরঘাট, এবং দুরপাল্লার বাস স্টেশন গুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে।
তবে হঠাৎ করে শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় যে যেভাবে পারছে ঢাকায় ফিরছে। কেননা চাকরি বাঁচাতে হলে অফিসে উপস্থিত থাকতেই হবে। প্রাইভেটকার, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, সিএনজি, মটরবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ফিরছেন রাজধানীতে।
এমনি কিছু গার্মেন্টস শ্রমিক চাকরি বাঁচাতে করোনার সাথে যুদ্ধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রংপুর থেকে কাভার্ড ভ্যানে রংপুর থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরেছেন রাজধানীতে। এদের বেশির ভাগই কাজ করেন নারায়ণগঞ্জে।
তারা জানান, হঠাৎ করে অফিস খোলার ঘোষণা আমরা বিপাকে পড়ি। অফিস থেকে ঘোষণা ডিউটি করতে হবে। আমাদের ছুটি ৭ দিন। আজকে (১ আগস্ট) অফিস করতে পারলে আমাদের ৭ দিনের হাজিরা পাবো, আর অফিস না করতে পারলে ৭ দিনই অনুপস্থিত হয়ে যাবে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :