মার্কিন নাগরিকের লাশ নেবে না পরিবার, জানালো ৪ বছর পর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২, ০৬:০৮ পিএম
মার্কিন নাগরিকের লাশ নেবে না পরিবার, জানালো ৪ বছর পর

বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা খাতুনের সঙ্গে ল রবার্ট বারকার।ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে চার বছর যাবত সংরক্ষিত ছিল মার্কিন নাগরিক রবার্ট মাইরোন বারকারের মরদেহ। অবশেষে সেই মরদেহ নিয়ে গেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

২০১৮ সালের ২৫ মে হৃদরোগে রবার্ট মাইরোন বারকারের মৃত্যু হলেও বিদেশি নাগরিক হওয়ায় সেই থেকেই মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গের মরচুয়ারিতে সংরক্ষিত ছিল। সেখানে রাখার আগে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার (২৪ জুন) ঢামেক মর্গ থেকে দক্ষিণখান থানা পুলিশের উপস্থিতিতে দূতাবাসের লোকজন মার্কিন নাগরিক রবাটের মরদেহ নিয়ে যায়। দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে দক্ষিণখানে মার্কিন নাগরিক রবার্ট মাইরোন বারকার (৭৮) হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় আইন অনুযায়ী তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করে ঢামেক হাসপাতাল মর্গের মরচুয়ারিতে রাখা ছিল। শুক্রবার (২৪ জুন) সেখান থেকে বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা খাতুনের উপস্থিতিতে দূতাবাসের লোকজন তারমরদেহ নিয়ে গেছে। পরে গাজীপুরে খ্রিস্টান ধর্ম অনুযায়ী তার মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি মাজেদা খাতুন তার স্ত্রী হলেও আমেরিকায় তার বড় স্ত্রী ও সন্তানরা রয়েছে। মৃত্যুর পরে দূতাবাসের লোকজন সেখানে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে আসছিল। দীর্ঘ চার বছর পরে আমেরিকার পরিবারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পেরেছে। কিন্তু রবার্টের পরিবার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানালে দূতাবাসের লোকজন বাংলাদেশেই খ্রিস্টান ধর্ম রীতিতে তার মরদেহ সমাধিস্থ করেছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি হাসপাতালের সাবেক নার্স মাজেদা খাতুনের দাবি, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক মার্কিন নাগরিক রবার্ট মাইরোন বারকারের সঙ্গে খ্রিষ্টধর্ম অনুযায়ী বিয়ে হয় তার। এরপর থেকে মাজেদার সঙ্গেই সংসার করতেন রবার্ট। যিনি পেশায় একজন বিদেশি উন্নয়নকর্মী হলেও কোন এনজিওতে কাজ করতেন, তা জানাতে পারেননি মাজেদা।

ল রবার্ট বারকারের মৃত্যুর যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে মরদেহ ফিরিয়ে দিতে দক্ষিণখান থানায় জিডি করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত ও সংরক্ষণের জন্য পাঠানো হয় ঢামেক মর্গে। এরপর মার্কিন দূতাবাস কিংবা রবার্টের মূল পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মরদেহ ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হন মাজেদা খাতুন।

তিনি বলেন, আমেরিকায় তিন-চারবার যোগাযোগ করেছি। তাদের ফোন বন্ধ, সংযোগ পাওয়া যায় না।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!