সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নাই: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নাই: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা : গণমাধ্যমের যতটা স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে তা কখনও কেউ দেয়নি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচনা ভালো কিন্তু সেটি গঠনমূলক হাওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনীর সুযোগ থাকতে হবে। অপজিশন (বিরোধী দলগুলো) তো বলবেই। তারা সারাদিন কথা বলে। টকশোতে যা খুশি ইচ্ছামতো বলে যাচ্ছে। সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তো স্বাধীনতাটা ছিল কখন। আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান নাকি এরশাদের আমলে ছিল?

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা ভাতা বা অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠন করার সময় সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না? আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ বহু ধরনের মানুষ কাজ পাবে তাদের জীবন চলতে পারবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দেই।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। সাংবাদিকরা যাতে কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। কিন্তু আমাদের ওপর ঝড়ঝাপটা কম যায়নি। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর, সেই স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়ে যায়। পাকিস্তান আমলে সবসময় যেমন মিলেটরি ডিক্টেটররা যেমন ক্ষমতায় এসেছে। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে ৭৫’র পর একই পন্থায় ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। যার ফলে আজকে আমরা জনগণের সেবা করারও সুযোগ পেয়েছি। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!