ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’। সনদটি চূড়ান্ত হলে সংস্কার বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে—এ নিয়েও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠকে বসে সনদ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। এর আগে একাধিক দফায় খসড়া পাঠানো হলেও মতপার্থক্যের কারণে অগ্রগতি হয়নি।
প্রধান বিরোধের জায়গা হলো সংস্কার বাস্তবায়নের সময়সীমা ও আইনি ভিত্তি। বিএনপি নির্বাচনের পরবর্তী দুই বছরে বাস্তবায়নের পক্ষে থাকলেও জামায়াত ও এনসিপি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন চান এবং সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি তুলছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছয় মাস মেয়াদি কাজ শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে জুলাইয়ের মধ্যে সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্য থাকলেও তা হয়নি। মেয়াদ শেষ হবে ১৫ আগস্ট।
যদি শেষ মুহূর্তে ঐকমত্য না হয়, তখন কী হবে—এই প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, “সনদে যেসব জায়গায় ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়েই এগোনো হবে। সব বিষয় নিয়ে একমত হতে গেলে বছরের পর বছর লেগে যাবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, যেহেতু নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা হয়ে গেছে, তাই যা হয়েছে তার ভিত্তিতেই স্বাক্ষর হওয়া উচিত। তিনি একে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছেন।
কমিশনের বাকি সময় অল্প। এখন দেখার বিষয়—শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করে ঐক্যমতের পথে হাঁটে নাকি মতবিরোধ থেকেই যায়।
সূত্র: বিবিসি
ওএফ
আপনার মতামত লিখুন :