আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, নৌবাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দুইজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এবার প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত একজন অস্ত্রধারী আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি জানান, নির্বাচনের সময় মাঠে থাকা পুলিশ সদস্যদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে, যাতে পরিস্থিতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করা যায়। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা। এজন্য রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি বা মামলার মুখোমুখি হতে না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, টাকার লোভে কিছু ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্টে অনাকাঙ্ক্ষিত মামলা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছরের জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগে থানায় মানুষ অভিযোগ জানাতে আসতো না, আনসার বাহিনীতে বিদ্রোহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, অন্য বাহিনীগুলোও তেমন সক্রিয় ছিল না। এখনও হয়তো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাইনি, তবে বর্তমান অবস্থা নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অনুকূল।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সঠিক ও দায়িত্বশীল প্রতিবেদন দেওয়ার কারণে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে ছড়ানো ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার অনেকটাই বন্ধ হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হবে।
ওএফ
আপনার মতামত লিখুন :