উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। নতুন বিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী জোটের অংশ হলেও তাকে নিজ দলের প্রতীকেই ভোটে অংশ নিতে হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জারি করা অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য গণমাধ্যমে জানা যায়।
এর আগে ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন পায়। তবে ‘জোটের প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে’— এই ধারা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মতবিরোধ তৈরি হয়। বিএনপি ধারা ২০ সংশোধনের বিরোধিতা করলেও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর পক্ষে অবস্থান নেয়।
শেষ পর্যন্ত সেই ধারা বহাল রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোটবদ্ধ হলেও কোনো প্রার্থী অন্য দলের বা জোটের বড় দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না—নিজ নিজ দলের প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
এ ছাড়াও নির্বাচনি আইন ও বিধিমালা আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে আরপিওতে আরও কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। এই অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে নির্বাচনি আইনের সংস্কার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটার তালিকা আইন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা এবং সাংবাদিক নীতিমালাসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিতে পরিবর্তন এনেছে। নতুন আরপিও সংশোধনের পর ইসি শিগগিরই দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধি জারি করবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) প্রণয়ন করা হয়, যা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মূল আইনি কাঠামো হিসেবে বিবেচিত। এর পরবর্তী সময়ে একাধিকবার সংশোধন আনা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩ পাস হয়।
এম
আপনার মতামত লিখুন :