প্রতীকী ছবি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশ করে ইসির উপসচিব মো. মনির হোসেন জানান, ভোটের সময় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এবার সেনাবাহিনীকে সীমিত পরিসরে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হবে, যাতে তারা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শুধু নিরাপত্তা রক্ষায় নয়, বরং প্রয়োজনবোধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতে ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা রক্ষা ও অনিয়ম প্রতিরোধ আরও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সভায় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি জানান, সারা দেশে ৬২টি জেলায় প্রায় এক লাখ সেনা সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী চার দিনসহ মোট আট দিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে কমান্ডো ইউনিট ও আর্মি এভিয়েশনও সহায়তা করবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের আওতায় সেনাবাহিনী বিশেষ করে সন্ত্রাস, নাশকতা ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারবে। তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবে, যাতে কোনো পরিস্থিতিতেই ভোটের পরিবেশ নষ্ট না হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।'
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন একদিনে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে-এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে হলে প্রতিটি সংস্থাকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার ফলে দ্রুত বিচার ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বড় সহায়ক হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, নৌবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও কোস্টগার্ডও নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গুজব প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় কাজ করবে।
ইসি আশা করছে, সব বাহিনীর সমন্বিত তৎপরতায় এবারের জাতীয় নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :