ফাইল ছবি
নবম পে স্কেল প্রণয়নে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে পে কমিশন। সরকারের সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে চার ধাপে মতবিনিময় শেষে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও সুপারিশ সংগ্রহ করেছে কমিশন। ৭০-এর বেশি সচিব এতে অংশ নেন।
কমিশনের একটি সূত্র জানায়, অনলাইনে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৭০-এর বেশি সচিবের মতামত নেওয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়-এটি মাথায় রেখে চার ধাপে সভা করা হয়েছে। প্রতিটি সভায় ১৭ বা তার বেশি সচিব গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এগুলো এখন পর্যালোচনা চলছে।
তিনি আরও জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশন সুপারিশ জমা দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সোমবার সচিবদের সঙ্গে প্রথম দফা আলোচনার পর কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও সবাই উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই পরবর্তী ধাপেও তাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলোচনা শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, কাজ পূর্ণোদ্যমে চলছে। ইতোমধ্যেই অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসেই চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়া হতে পারে। সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো ও গ্রেড পুনর্বিন্যাসকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও তারা জানান।
সম্প্রতি পে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির। বৈঠক শেষে তিনি জানান, কমিশনের অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কমিশন সদস্যদের মতামতই প্রাধান্য পাবে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :