ঢাকা : মক্কা ও মদিনা যদি কখনো হুমকিতে পড়ে বা আক্রান্ত হয় তাহলে দেশটিতে সেনাবাহিনী পাঠাবে বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে অংশগ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরকে সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মক্কা ও মদিনা মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্রতম স্থান। তাই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেশ হিসেবে এগুলো রক্ষা করা বাংলাদেশেরও দায়িত্ব রয়েছে।
এদিকে গেল বছরের শেষ দিকে পবিত্র নগরী মক্কায় রকেট হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন। এর আগেও হুথি বিদ্রোহীরা মক্কা লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করে। পরে সৌদি প্রতিরক্ষা কর্মীরা মক্কায় পৌঁছানোর আগেই ওই রকেট ধ্বংস করে দেয়।
রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য আরব-মুসলিম-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন বলে জানান এ এইচ মাহমুদ আলী। ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আইএস বিরোধী জোটের সদস্যরা অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। আর ওই সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানান সৌদি বাদশাহ।
সম্মেলনে প্রায় বিশটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা যোগ দেবেন বলে রাজনৈতিকভাবে এটিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সম্মেলনে আগামী দিনে সন্ত্রাস মোকাবেলা, ফিলিস্তিন সংকটসহ এ অঞ্চলে চলমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয়াবলী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে ধারণা করা যায়। আর সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান তুলে ধরবেন।’
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিষয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- ওই সামরিক জোটে বাংলাদেশ গিয়ে সৌদি ও ইরানের দ্বন্দ্বের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, এর কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং প্রস্তাবিত সামরিক জোট মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে সহায়ক হবে। এমনকি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধ নিরসনেও সেটি সহায়ক হবে। বাংলাদেশ সেটাই চায়।
সোনালীনিউজ/ এসও
আপনার মতামত লিখুন :