আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে কয়েক লাখ মানুষ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৩০, ২০১৭, ০২:৫২ এএম
আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে কয়েক লাখ মানুষ

আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত শিশুসহ পরিবারের সদস্যরা

ঢাকা: বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে ঝড় ‘মোরা’। দেশের উপকূলবর্তী ৯টি জেলার ওপর দিয়ে তাণ্ডব লীলা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এজন্য উপকূলবর্তী প্রায় তিন লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সোমবার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে সন্ধ্যার মধ্যে ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেয়। জেলায় জেলায় মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় সে সময় থেকেই।

কিন্তু তখন সংকেত কম থাকায় এবং আবহাওয়া ততটা প্রতিকূল না হওয়ায় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ দেখাননি বলে আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা জানান। সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ৯টি জেলার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন। রাতে মহাবিপদ সংবাদ ঘোষণার পরে প্রশাসন আরো তৎপর হয়। সূত্র জানিয়েছে, রাতে প্রায় তিন লাখ লোক বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, রাত ১০টা নাগাদ শরণখোলা এবং মোংলা উপজেলার ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছেন তারা। এর মধ্যে শরণখোলার ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার এবং মোংলার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

দেশের ১৯ জেলার ১৪৭টি উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস করে। এর মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও পিরোজপুর- এই ১০ জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে।

উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট ও আনসার ভিডিপির কর্মীরা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন একসঙ্গে। দেশে সব মিলিয়ে সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। এছাড়া আরও কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘সব ধরনের প্রস্তুতি’ তারা রেখেছেন। লোকজনকে সরিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Link copied!