সিদ্দিকুরের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৪:৫০ পিএম
সিদ্দিকুরের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে চোখ হারানো সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। 

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে টেলিফোন অপারেটর পদের নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।

নিয়োগপত্র অনুযায়ী, সিদ্দিকুর রহমানকে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির টেলিফোন অপারেটর পদে এক বছরের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সময় তার বেতন ধরা হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। সঙ্গে আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন তিনি। তবে একবছর পর চাকরি স্থায়ী হলে তার বেতন হবে ২৩ হাজার টাকা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির এমডি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের সচিব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এ ঘটনাটি অনেক কষ্টের ও বেদনাদায়ক। তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি দিতে পারাটা স্বস্তিদায়ক।সিদ্দিকুরের প্রতি সরকারের নজর থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘চোখ রক্ষা করতে সিদ্দিকুরের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সেটা সফল হয়নি। তবে তিনি এক চোখে ঝাপসা দেখতে পান। সেক্ষেত্রে চাকরির পাশাপাশি তিনি পড়াশুনাও চালিয়ে যাবেন।’

অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখন সে চিন্তা করে লাভ নেই। আমি এখন আগের অবস্থানে নেই। তারপরও স্বপ্ন বাস্তবায়নে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। দেখা যাক কতদূর কী করা যায়।

এ সময় তিনি সরকার, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করা হলে আমি খুশি হবো।’

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার রুটিন ও তারিখ ঘোষণাসহ কয়েকটি দাবিতে গত ২০ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া নতুন সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় চোখে গুরুতর আহত হন তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান। পরে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান। যদিও চেন্নাইয়ের চিকিৎসকরা বলেছিলেন, চোখে আলো ফেরার কোনও সম্ভাবনা নাই। ৎ

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Link copied!