গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ হচ্ছে বাংলায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০১৮, ১১:৪৫ পিএম
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ হচ্ছে বাংলায়

ঢাকা : গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) বাংলায় করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনুবাদে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি। সর্বস্তরে বাংলা চালুর অংশ হিসেবে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫-এর আগে এ তথ্য জানাল ইসি।

সংস্থার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিদের একাংশ ইংরেজি ভালো বোঝেন না। তাদের জন্য সহজবোধ্য করতে আরপিও বাংলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাম্প্রতিক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সচিব জানান, এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে একটি উপকমিটি রয়েছে। এই কমিটি আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব করেছে।

কমিশনাররা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন এবং সংশোধন নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন। এগুলো জাতীয় সংসদে পাঠানোর আগে অধিকতর পর্যালোচনা করে গ্রহণযোগ্যতা উপকমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আচরণবিধিমালা সম্পর্কে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এটি পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা হয়তো পরবর্তী সময়ে আলোচনা হতে পারে।  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও)-১৯৭২ বেশ কিছু ধারায় সংশোধন আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে দায়িত্বরতদের প্রত্যাহারের পাশাপাশি বদলি, বড় জেলায় দু’জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, সমভোটপ্রাপ্তদের মধ্যে লটারির পরিবর্তে পুনর্নির্বাচনসহ অন্তত ৩০টি ধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়েছে।

আরপিওর উল্লেখযাগ্য সংশোধনী

২ ধারায়, ব্যক্তিগত ব্যয়ের কোনো সংজ্ঞা বা ধারণা না থাকায় নতুন করে বিধান সংযোজন।
৭(৫) কোনো জেলায় দু’জন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা যেতে পারে। একজন রিটার্নিং অফিসারের পুরো জেলায় নির্বাচন কার্যক্রম তদারকির সুযোগ থাকে না। এ সমস্যা দূর করতে জেলার পাশাপাশি আসনও যোগ করার বিধান সংযোজন।

৭(৬) নির্বাচিত দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রত্যাহারের পাশাপাশি বদলির বিধান সংযোজন।

৮(২) ২৫ দিন আগের স্থলে ভোটের ১৫ দিন আগে কেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ।
৯(১)(ধ) তিন দিন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল উন্মুক্ত রাখার বিধান যোগ।

১২(১)(স) ঋণখেলাপিদের জটিলতা কমাতে মনোনয়ন দাখিলের সাত দিন আগের পরিবর্তে দাখিলের আগের দিন তা পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার বিধান।

১২(৩) অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের বিধান যুক্ত করা।

১২(৩এ)(এ) স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটের পরিবর্তে ১০০০ ভোটার সমর্থন তালিকা জমার বিধান যোগ করা।

১২(৩এ)(সি) প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করার বিধান সংযোজন।

১২(৩বি)(এ) সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কশিট জমা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি।

১৩(১)(এ) জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার বিধান যোগ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!