বিড়ি শ্রমিক প্রতিনিধি সম্মেলন

‘২০ লাখ শ্রমিককে বেকার করা যাবে না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৮, ০২:৩৭ পিএম
‘২০ লাখ শ্রমিককে বেকার করা যাবে না’

ঢাকা : বিকল্প ব্যবস্থা না করে দেশে বিড়িশিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। শনিবার (১৯ মে) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তারা বিড়ি ও সিগারেটকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে বলেন, বন্ধ করতে হলে দুটি একসঙ্গে করতে হবে।  

নেতারা বলেন, বিড়ির প্রতি বৈষম্য করলে দেশের ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক ও ১০ লাখ তামাক চাষিকে বেকার হতে হবে। সরকারকে এমন করতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারিও দেন নেতারা। ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি)’ এবং বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এই প্রতিনিধি সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিড়ি কারখানার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক প্রতিনিধি অংশ নেন।  

এদিকে বিড়ি শ্রমিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনিবার্য কারণবশত তিনি উপস্থিত হতে না পেরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ‘একাত্মতা’ ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, বিড়ি শ্রমিক প্রতিনিধি সম্মেলনে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি একাÍতা ঘোষণা করছি। জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করব। প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান।

তিনি বলেন, সেই পাকিস্তান আমল থেকে আমরা বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। আমরা শ্রমিকদের এই ন্যায্য আন্দোলনে একাÍতা ঘোষণা করছি।  

সম্মেলনে জানানো হয় রংপুরে আগামী ২৪ তারিখে বৃহৎ কর্মসূচি পালন করবেন শ্রমিক নেতারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ, ধর্মঘট করা হবে। নেতারা বলেন, দুই বছরে বিড়ি বন্ধ করা ও ২২ বছরে সিগারেট বন্ধ করার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ, যা চরম বৈষম্যনীতি এবং তা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

এ ছাড়া প্রতি হাজার বিড়ি শলাকার ওপর ২৫২ টাকা ট্যাক্স প্রত্যাহার, প্রতি হাজার বিড়ি তৈরির মজুরি ১০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানান তারা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!