তহবিল সঙ্কটে আইওএম

রোহিঙ্গা স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের শঙ্কা

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৭, ২০১৮, ০২:১৫ পিএম
রোহিঙ্গা স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের শঙ্কা

ঢাকা : প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্রুত আর্থিক সহায়তা না পেলে সেখানে আর চিকিৎসা পরামর্শ ও সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে না তারা। গত নয় মাসে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় চার লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম।

গত মঙ্গলবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারে শরণার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের মধ্যে অন্যতম আইওএম। গর্ভধারণ-সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সহায়তা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। গত চার মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের ঘটনা-সংক্রান্ত ৪ হাজার ৩০০ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়াও আর্থিক সহায়তা করে আসছে আইওএম। সার্জারির ক্ষেত্রেও তারা আর্থিক সহায়তা করে থাকে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ষা মৌসুমে যখন চিকিৎসাসেবা আরো বেশি প্রয়োজন, এমন সময়ই মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোকে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়নি। কক্সবাজারে নিযুক্ত আইওএমের জরুরি সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেন, ‘গত নয় মাসে চার লাখেরও বেশি স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার ঘটনা আইওএমের চিকিৎসা সহায়তা ক্ষেত্রে দারুণ অর্জনের সাক্ষ্য দেয়।
শরণার্থী ও স্থানীয়দের চিকিৎসা সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে সংস্থাটি। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে তহবিল না পেলে আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারব না। যদি শেষ পর্যন্ত এটাই ঘটে, তাহলে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, অনেকের জীবন শঙ্কার মধ্যে পড়বে।’

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, ‘শরণার্থী ও স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবায় আইওএম গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। তারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে আরো কার্যকর করতে কাজ করেছে। তাদের সহায়তা না পেলে আমাদের পক্ষে এ কাজ চালিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার তহবিল গঠন করেছে জাতিসংঘ ও আইওএম। কিন্তু তহবিলের প্রতিশ্রুত অর্থ এখনো পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া নতুন করে কেউ সহায়তায় এগিয়ে না আসায় তাদের পক্ষে রোহিঙ্গা শিবিরে কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!