‘সাংবাদিকতার মূল বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৮, ০৯:৪৬ পিএম
‘সাংবাদিকতার মূল বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকতার মূল বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। এ সাংবাদিকতা চলমান থাকুক। আপনারা নিরুৎসাহিত হবেন না।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্ভয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করুন। তথ্য সঠিক হলে কেউ আপনাদের কিছু করতে পারবে না। দুদকের বিষয়েও যদি কোনো তথ্য থাকে তা নিয়েও প্রয়োজনে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করুন। এতে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাঁধা থাকবে না। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি নিয়ে যে কোনো অনুসন্ধানী রিপোর্ট করলে ভয়ের কিছু নেই এবং কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে দুদক বিটের সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ।

দুদক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনেস্ট করাপশন (র‌্যাক) ও পিআইবি’র যৌথ উদ্যোগে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন র‌্যাকের সাবেক সভাপতি মিজান মালিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচএম সাগর ও বর্তমান কমিটির সাধরণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ।

সদ্য প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংবাদকর্মীরা অভিযোগ করে আসছেন। এ প্রেক্ষিতে ইকবাল মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকতার মূল বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। এ সাংবাদিকতা চলমান থাকুক। আপনারা নিরুৎসাহিত হবেন না।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা যদি আমাকে চ্যালেঞ্জ না করেন, আমি শুধরাব না। আপনারা প্রশ্ন করবেন, কিছু উত্তর দেব, সব প্রশ্নের উত্তর হয়ত আমি দেব না, দিতেও পারব না।

ইন্টারনেটে নাগরিকদের বিচরণে সুরক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, তার কয়েকটি ধারা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের আপত্তি রয়েছে। অধিকারকর্মীরাও বলছেন, এতে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার খর্ব হবে। ওই ধারাগুলো সংশোধনের দাবিতে সোমবার (১৫ অক্টোবর) মানববন্ধন করেছে সম্পাদক পরিষদ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ৫৭ ধারা বা ডিজিটাল আইন সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তবে আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন, দুদক এসব সংবাদকে স্বাগত জানাবে।

ডিজিটাল আইন নিয়ে সাংবাদিকদের ভীতি প্রসঙ্গে পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, সাংবাদিকতা কোনো আইন দিয়ে থেমে থাকেনি। আইন করে কোনো ভালো কাজকে আটকানো যাবে না। আইন হয় খারাপদের জন্য। কাজেই আইন নিয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

অনুষ্ঠানে বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জনকণ্ঠ ও ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক নেই।

কয়েকজন সম্পাদক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন অন্য সম্পাদকরা যদি আরেকটি সম্পাদক পরিষদ করেন তাহলে অবস্থা কী দাঁড়াবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!