আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৬, ২০১৯, ০২:১৮ পিএম
আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

ঢাকা : ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস বৃহস্পতিবার (১৬ মে)। ৪৩ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাঁধ’ অভিমুখে হাজার হাজার মানুষের লংমার্চ হয়। ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকণ্ঠ ভারতের শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দেয়। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।

সেদিন সেই ফারাক্কা লংমার্চের সাংগঠনিক কমিটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন মওলানা ভাসানীর সহচর, ন্যাপের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া।

১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজও অমীমাংসিত থেকে গেছে। ফারাক্কা নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে শুভঙ্করের ফাঁকি সুস্পষ্ট হলেও এ নিয়ে কোন আলোচনা হয় না। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত তার একতরফা নীতির আওতায় গঙ্গা তথা পদ্মায় যে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে সেই বাঁধ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধ

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আয়োজিত গঙ্গার ন্যায্য পানির দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চের সূচনা হয় রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান থেকে- যা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গিয়ে শেষ হয়। রাজশাহী থেকে শুরু হয় জনতার পদযাত্রা। হাতে ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে মানুষে মানুষে ভরে যায় রাজশাহীর রাজপথ। শিবগঞ্জের কানসাট অভিমুখে। শিবগঞ্জে পৌঁছানোর আগে মহানন্দা নদী পার হতে হয়। নৌকা দিয়ে কৃত্রিম সেতু তৈরি করে মহানন্দা নদী পার হয় মিছিল। হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয় এই লংমার্চে। কানসাট হাই স্কুল মাঠে পৌঁছানোর পর সমবেত জনতার উদ্দেশে মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণ দেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!