বেতনবৃদ্ধির আন্দোলন বনাম বেকারদের নীরব আর্তনাদ

  • খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
বেতনবৃদ্ধির আন্দোলন বনাম বেকারদের নীরব আর্তনাদ

প্রতীকী ছবি

বর্তমান সমাজে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে-চাকরিজীবীরা বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামছেন, অফিস ও আদালত বন্ধ করে আন্দোলনে যাচ্ছেন। খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেন, সম্প্রতি দেখা গেছে শিক্ষিকারা বিদ্যালয় বন্ধ রেখে অবস্থান নিয়েছেন, অথচ নভেম্বর মাসে শিশুদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির করছে, যা নিঃসন্দেহে অমানবিক। শিশুদের ভবিষ্যৎকে জিম্মি করে দাবী আদায়ের চেষ্টা করা মহৎ শিক্ষকতার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে।

অন্যদিকে, আমাদের সমাজে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুণ আছেন, যাদের কোনো নির্দিষ্ট আয় নেই, জীবিকার নিশ্চয়তা নেই। তারা কোথায় যাবে, কাকে বলবে তাদের দুঃখের কথা? তাদের নীরব আর্তনাদ কখনো সংবাদমাধ্যমে জায়গা পায় না, সরকারি সহানুভূতিও বিরল-তাদের অস্তিত্বই যেন অদৃশ্য।

এই বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি সমাজে অন্যায়ের গভীর চিত্র তুলে ধরে। যারা আগে থেকেই সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তারা আরও বেশি পাওয়ার আন্দোলন করছেন, আর যারা কিছুই পাননি, তারা ক্ষুধা ও হতাশার সঙ্গে নীরবে লড়াই করছেন।

খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব হলো ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। চাকরিজীবীরা মানবিক দায়িত্ব হিসেবে কিছুটা সংযম দেখাবেন, আর রাষ্ট্র নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, যাতে বেকার তরুণদের জীবনে আশার আলো জ্বলে।

তিনি শেষ করেন, “আন্দোলন যখন ব্যক্তিগত স্বার্থের সীমা ছাড়িয়ে সামাজিক দায়বোধের জায়গায় দাঁড়াবে, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব হবে। বেতন বাড়ালে একদল মানুষ উপকৃত হয়, কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়ালে গোটা জাতি উপকৃত হয়।”

এসএইচ 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Link copied!