ফাইল ছবি
ঢাকা: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকেও তিনি নিজ দেশেই চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার ইচ্ছাপোষণ করেছেন।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়াদ তথ্য অনুযায়ী, ডা. জুবাইদা রহমান জানিয়েছেন, তার শাশুড়ি চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে চান না। তিনি এ দেশেই চিকিৎসা নিতে চান।
সূত্রটি আরও জানায়, গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির সময়েও তিনি স্বজন ও চিকিৎসকদের বলেছিলেন, তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে যেন তাকে দেশের বাইরে নেওয়া না হয়। তিনি দেশের মাটিতেই থাকতে চান।
অন্যদিকে, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডও তাকে এই মুহূর্তে বিদেশে স্থানান্তরের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা মনে করছেন, দীর্ঘ আকাশপথে ভ্রমণের মতো শারীরিক সক্ষমতা বর্তমানে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর নেই। তাকে এ অবস্থায় দেশের বাইরে নেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ফলে একদিকে পরিবারের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়ার চেষ্টা এবং অন্যদিকে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত অনিচ্ছা ও মেডিকেল বোর্ডের ঝুঁকি বিষয়ক সতর্কতা- সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। আপাতত এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর রাতে অসুস্থ বোধ করলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন, বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এমন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল দল পরিবার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। পেশায় চিকিৎসক ডা. জুবাইদা মূলত শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই দেশে ফিরেছেন। বর্তমানে তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন।
পিএস
আপনার মতামত লিখুন :