ন্যাপ’র প্রশ্ন

পিঁয়াজ সিন্ডিকেট কি সরকারের চাইতে শক্তিশালী?

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৭:০৬ এএম
পিঁয়াজ সিন্ডিকেট কি সরকারের চাইতে শক্তিশালী?

ঢাকা : বাণিজ্যমন্ত্রী ১৬ জুলাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন ১০ দিনের মধ্যে পিঁয়াজের মূল্য হ্রাস পাবে, এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিঁয়াজ দেশে আসবে। ফলে মূল্য কমবে বলে তিনি নিশ্চিত করলেও বাস্তবে মন্ত্রীর সেই কথার প্রতিফলন বাজারে দেখা যায় নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা প্রশ্ন করেন পিঁয়াজ সিন্ডিকেট কি সরকারের চাইতে শক্তিশালী? মন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ার মধ্য দিয়ে কি তাই প্রমানিত হচ্ছে না? বাজার পরিস্থিতি দেখে মন্ত্রীর আশ্বাসে সচেতন জনগোষ্ঠী আশস্ত হতে পারছেন না। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অতীত তাদের আশাহত করছে। জনগন মন্ত্রীর এ বক্তব্যকে অষ্টম আশ্চর্যই মনে করছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃরিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি রংপুরের সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বিকল্প পথে পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তার পরও কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ এর আগেও তিনি একই রকম কথা বলেন। কিন্তু তার কথা ও কাজের যে কোনো প্রতিফলন ঘটছে না, এ সত্য তো সবার সামনে।

তারা বলেন, বিদেশ থেকে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় শতগুণ বেশি পিঁয়াজ আমদানি করা হলেও সাধারণ মানুষ সে সুবিধা পাচ্ছে না। কারণ সরিষায় ভূত বা গোড়ায় গলদ। এ ভূত ও গলদ দূর না করা পর্যন্ত এর সুফল সাধারণ মানুষ পাবেন না। কেননা এর পেছনে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের লম্বা হাত রয়েছে, যাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারনা মন্ত্রীর পক্ষে বর্তমান সিন্ডিকেটকে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তারা বড় বড় জায়গায় দান-সদকা করে, মাসোয়ারা দেয়। তারা এটা একলা খায় না। যে কারণে তাদের ধরা সম্ভব নয়। এদের শিকড় নাকি অনেক গভীরে। যার ফলে যে পণ্যের অভাব মোটেও পরিলক্ষিত হচ্ছে না কোথাও, দায়িত্বশীলদের চোখে ধুলা দিয়ে; ভোঁতা বিবেকে থুথু মেরে সে পণ্যের মূল্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে এখনো বহালতবিয়তে কারসাজি করে যাচ্ছে, সে সিন্ডিকেট মন্ত্রীদের পরোয়া করলে এতটা বেপরোয়া হতে পারত না।

তারা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কবল থেকে খাদ্যপণ্যকে নিরাপদ রাখতে এসব ব্যবসায়ী নামের সিন্ডিকেটকে র্র্যাবের অভিযানের আওতায় আনতে বাধা কোথায়? নাকি বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই সিন্ডিকিটের কাছে জিম্মি ? যদি জিম্মি না হন তাহলে ডাকাতের মতো ক্রেতাদের পকেট কাটা সিন্ডিকেটকে ধরে জাতির সামনে হাজির করুন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!