‘আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২১, ০৬:২৬ পিএম
‘আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে’

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ। এটা রাজনীতির জন্য খুবই বিপদজনক।
 
সোমবার (১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে একথা বলেন শামীম ওসমান।

শামীম ওসমান বলেন, এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ। এটা খুবই বিপদজনক। এটা যদি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকতো তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এটা যদি প্রফেশন হয়ে যায় তাহলে খুব মারাত্মক ব্যাপার। আমি মনে করি প্রফেশনাল হিসেবে যারা আছেন তাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আপনার প্রফেশনে আপনি সাকসেসফুল কিনা সেটা লক্ষ্য রাখা। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী সেটা দেখার দরকার নেই। শুধু একটা জিনিস দেখতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কিনা।

তিনি বলেন, আমি এই কথাগুলো বললাম কারণ আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে। আমি প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকি। যদিও আমার মৃত্যু আজ থেকে বিশ বছর আগে ১৬ই জুন হয়ে গেছে। আমার ডানে-বায়ে যারা ছিলেন সবাই মারা গেছেন। আমি যে সাক্ষী দিয়েছি সে সাক্ষীও বদলে দেওয়া হয়েছে এবং সেটা আমার সরকারের আমলেই। আমি কোর্টে তা ডিনাই করে এসেছি।

পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে মানুষ অনেক কিছু আশা করেন। তা পূরণ করবেন কী করবেন না আপনাদের ইচ্ছা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই ধরনের মানুষ আছেন। এক ধরনের মানুষ আবেগ দিয়ে রাজনীতি করেন। আরেক ধরনের মানুষ তাদের মাথার বুদ্ধি দিয়ে। যারা আবেগ দিয়ে করেন তাদের জন্য রাজনীতিটা খুব কঠিন হয়ে যায়।  

হাদিসের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি যদি অবৈধ কাজ করি আমার ছেলে মেয়েও হাশরের ময়দানে আমাকে চিনবে না। সুতরাং আমি এমপি, গাজী, মন্ত্রী আমাদের এ সম্মান আল্লাহ দিয়েছেন। সব ধর্মই ভাল কথা বলে কোন ধর্ম খারাপ কথা শেখায় না। ভুল করার পরে যে নিজেকে সংশোধন করে নেন আল্লাহ তাকে বেশি পছন্দ করেন।  

তিনি বলেন, আজকে দেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আপনারা আমার চেয়ে কম জানেন না। এটা শুধু শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র না। এটা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার। রাষ্ট্রের মূল কাঠামেগুলোকে দেশের বাইরে থেকে বসে প্রতিনিয়ত আঘাত করা হচ্ছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা হচ্ছে এই রাষ্ট্রকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে কারণ আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে থাকবে। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!