মন্ত্রিসভায় তোপের মুখে তথ্যমন্ত্রী!

  • সচিবালয় প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৬, ০৬:৩৬ পিএম
মন্ত্রিসভায় তোপের মুখে তথ্যমন্ত্রী!

বিতর্কিত ও বেফাঁস মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভায় তোপের মুখে পড়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রীদের দাবি অনুযায়ী, তথ্যমন্ত্রীকে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তথ্যমন্ত্রীর সম্প্রতি করা এক মন্তব্যে অসন্তোষ মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রথমে নির্ধারিত প্রশ্নের বাইরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে কথা শুরু করেন। পরে মন্ত্রিসভার অন্যসব সদস্যরাও বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গত রোববার (২৪ জুলাই) পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ টিআর-কাবিখার অর্ধেক এমপিদের পকেটে যায়’।

এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (২৫ জুলাই) মন্ত্রিসভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু  জাতির কাছে আমাদের (সংসদ সদস্য) হেয় করেছেন, আমাদের ইজ্জত নষ্ট করেছেন। আমাদের সবাইকে চোর বানিয়েছেন।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে লিখিত বক্তব্য একটি খামে ভরে সব সদস্যদের আসনের সামনে রাখেন। পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মুজিবুল হক চুন্নু, আমি আগে এমপি, তারপর মন্ত্রী। আমি আমার এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ পাওয়া এক ছটাক গম আত্মসাত করেছি এমন অভিযোগ কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন, তবে আমি আমার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।’

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘আপনার এ ধরনের কথা বলা ঠিক হয়নি।’ এ সময় উপস্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা তথ্যমন্ত্রীকে সংসদে ৩০০ বিধিতে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন।

আলোচনার এক পর্যায়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার ভুল স্বীকার করে বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে সবাইকে চিঠি দিয়েছি।’ ঠিক সে মুহূর্তে মন্ত্রিসভার সদস্যরা তথ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দের গম খাইলে আপনি খান, আমরা খাই না।’

এর উত্তরে হাসানুল হক ইনু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কথা আমি বলেছি ঠিক। কিন্তু এর জন্য আমি লিখিতভাবেই দুঃখও প্রকাশ করছি। নানা ইস্যুতে সেই অনুষ্ঠানে আমি কথা বলেছিলাম। তার মধ্যে এটা আমার ‘মুখ ফসকে’ বেরিয়ে গেছে। এটি আমি স্বজ্ঞানে বলিনি।’


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Link copied!