ফাইল ছবি
ঢাকা: সারাদেশে সাড়ম্বরে বিএনপি উদযাপন করতে যাচ্ছে গৌরবের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। দেশব্যাপী রোড শো এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি চালানো হবে। শেষ দিনে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশে বিজয় দিবস উদযাপন হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ এবং জনগণের বিজয়ের আনন্দময় উপলক্ষ আরও বর্ণিল এবং অর্থবহ করতে এবারও বিএনপি সারাদেশে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো’।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকারহারা জনগণ ফ্যাসিবাদী শাসনের শোষণ ও অত্যাচারে কষ্ট পেয়েছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে ২০২৪ সালে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর কাছে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে বিজয়ের আনন্দ ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, ১৯৭১ সালের মার্চে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। তাই এবারের বিজয় মশাল যাত্রা শুরু হবে ঐতিহাসিক কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। মশাল মিছিল কালুরঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে। মশাল বহন করবেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাই যোদ্ধা।
বিজয় মশাল রোড শো চলবে পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুরে। প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাই যোদ্ধা।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিজয় মশাল রোড শো চলাকালীন সময়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সঙ্গীত ও মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচিত বক্তব্য প্রচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শন হবে। পাশাপাশি জনগণকে সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি।”
দেশের সকল বিভাগ ঘুরে বিজয় মশাল সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছাবে। একই দিন ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ‘বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো’।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রতীক। ২০২৪ সালে অর্জিত গণতান্ত্রিক মুক্তি দেশের জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীক। তাই এবারের বিজয় উদযাপন হবে ইতিহাস ও বর্তমানের সম্মিলন।’
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :