তাহলে সোহেল কোথায়?

  • এম সুজন আকন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮, ০৩:৫২ পিএম
তাহলে সোহেল কোথায়?

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর মালিবাগ থেকে এ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তার ব্যক্তিগত সহকারি আক্তারুজ্জামান বাচ্চু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এদিকে পুলিশ ও র‍্যাবের একাধিক সূত্র তাকে আটকের বিষয় অস্বীকার করেছে।

এরআগে সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করতে সিলেট যান। চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গীদের সঙ্গে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ছিলেন। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টার দিকে খালেদা জিয়া ঢাকা ফেরেন। সোহেল মালিবাগের একটি বাসায় ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে আটক করা হয় বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমাকে ভোরে হাবিব-উন-নবীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে যে তাকে আটক করা হয়েছে।’

অন্যদিকে হাবিব-উন-নবী সোহেলকে আটকের বিষয় অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন- সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। অনেককে আটকই করা হয়নি। যেমন হাবিব-উন-নবী সোহেলকেও আটক করা হয়নি। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তারা তাকে আটক করেনি। তিনি নিজেই আত্মগোপনে থাকতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর, সেই কাজ দক্ষতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী করতে পারবে। আমরা দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে চাই, এ ধরনের কোনো কিছুই হবে না। কারণ আমাদের জনগণ সেগুলো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না।

এদিকে সোহেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে যে খবর আসছে তা সত্য নয়। আমি সব ইউনিটের সঙ্গে কথা বলেছি, কেউ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এরকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

বুধবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি হেড কোয়ার্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অপপ্রচার।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, যদি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে চায় তাহলে কেউ বাধা দিবে না। তবে যদি কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। শক্তহাতে দমন করা হবে। মানুষের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছেন।

কমিশনার আরো বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারির একটি রায়কে কেন্দ্র করে ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা গুজব ও শঙ্কার কথা শুনেছি। পুলিশ জানমালের নিরাপত্তা দেবে, নগরবাসীকে রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি পুলিশের রয়েছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রায়কে কেন্দ্র করে কোনো ব্যক্তি জ্বালাওপোড়াও-ভাঙচুর করতে পারবে না। শহরজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এই রায়কে ঘিরে জনমনে বিরাজ করছে আতংক। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে অসহিষ্ণুতা, উদ্বেগ ও উত্তেজনা। যার ছোঁয়া লেগেছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!