বাম জোটের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৮, ০৮:৩১ পিএম
বাম জোটের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

ঢাকা: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। পুলিশ বাধা দিলে সচিবালয়ের গেটের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।

রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জোটের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলসহকারে জোটের নেতাকর্মীরা পল্টন হয়ে সচিবালয়ের প্রবেশমুখে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে সেখানেই অবস্থান করে বাম জোটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় ব্যারিকেড অতিক্রমের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জোটের কয়েকজন আহত হয়।

বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইভিএমের ব্যবহার না করা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী ২৩ অক্টোবর সারা দেশে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। ঢাকায় এ অবস্থান হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এ ছাড়া ২৯ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের কাছে স্মারকলিপি দেবে।

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, ‘দেশে উত্তরাধিকারের রাজনীতি চলছে। গণতন্ত্রের চর্চা নেই। এ রাজনীতির ধারা শেষ করতে না পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি নির্বাচনেই নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়। তিনি ডিজিটাল আইনের সমালোচনা করেন।

গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আজ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করছে সরকার। তাই আওয়ামী লীগ না করলে বর্তমানে আর সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করা যায় না।

দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও দলীয়করণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে সাকি বলেন, তারা আজ যেসব কথা বলেন মনে হয় তারাও আওয়ামী লীগ করেন। এমনকি কে কোন দল করবে, দলের নিবন্ধন সব কিছু গোয়েন্দারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এর পরিবর্তন আনতে হবে, আর এর পরিবর্তন আনতে হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দীন কবীর আতিক ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!