‘ড. কামাল একজন নীতিহীন ব্যক্তি’

  • ভোলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮, ০৮:৩৬ পিএম
‘ড. কামাল একজন নীতিহীন ব্যক্তি’

ভোলা: বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ড. কামাল একজন নীতিহীন ব্যক্তি। আজ তাকে নিয়ে মানুষ সন্দেহ করে। স্বাধীনতার সময় তিনি কোথায় ছিলেন। যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা কারী তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে।

তিনি বলেন. ড. কামালের সেই স্বাধীনতার চেতনা কোথায়, কোথায় তার মূল্যবোধ। আবার বলে আগামী ২৪ তারিখে দেখে নিবে আমাদের। আরে বেটা দেখার দিন শেষ হয়ে গেছে। দেখার দিন আর আসবে না। এটা ২০০১ সাল না। এটা ২০১৮ সাল।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা সদরের বাংলা স্কুল মাঠের ভাষাণী মঞ্চে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বনিজ্যমন্ত্রী।    

সাবেক ডাকসুর ভিপি বলেন, আজকের বিজয়ের মাসে আমরা সকলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো ভোলার চারটি আসনে আমাদেরকে বিজয়ী করবেন। কারণ আমরা ভোলায় যে উন্নয়ন করেছি। এ ভোলা এমন ছিলো না। এ ভোলা ছিলো নির্যাতনের নগরী। ভোলা ছিলো অত্যাচারীরর যায়গা। আজকে শান্তি বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, আমি দলের শুধু ভোট চাইনা। ভোলা দল মত বির্বিশেষে সকলের ভোট চাই। আমার শেষ একটা স্বপ্ন আছে। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ করা। আগামীতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবে।

ভোলার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শাসন আমল ছিলো লুটপাটের রাজনীতি। মোশারেফ হোসেন শাজাহান পানিসম্পাদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নদী ভাঙ্গন রোধে কোনো কাজ করেননি। মেজর হাফিজ পানিসম্পাদ মন্ত্রী ছিলেন, ৮৬ কোটি টাকার বাজেট হয়েছে। কোনো কাজ করেননি। সব লুট করে খেয়ে ফেলেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা মেঘনার হাত থেকে ভোলাকে রক্ষার জন্য ভোলা জেলায় ৩২০০ কোটি টাকার ও সদর উপজেলার রাজাপুর, শিবপুর, ধনিয়া, কাচিয়ায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী ভাঙ্গন রক্ষা করেছি। আমরা অনেক জায়গায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ করেছি, রাস্তা ঘাট করেছি। আজ ভোলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা আপনাদের সামনে দৃশ্যমান।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিএনপির অত্যাচারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন, আমার নামে ৩৯টি মামলা দিয়েছিলো বিএনপি। দুঃখ লাগে ২০০২ সালে আমাকে গ্রেফতার করে কাশিমপুর কাড়াগারে ফাসির আসামির মতো রেখেছিলো। পরে আমাকে যখন কুষ্টিয়া কাড়াগারে পাঠায় তখন আরিচা ঘাটে দেখি আমার হাতে হাতকড়া আর স্বাধীনতা বিরোধী মুজাহিদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা। আমি একজনকে জিজ্ঞেস করলাম এ গাড়িতে কে। একজন বললো সমাজকল্যানমন্ত্রী মুজাহিদ। যারা মাকে ছেলে হারা করেছে, বোনকে যারা ভাই হারা করেছে, স্বামী হারা করেছে তাদের গাড়িতে বিএনপি পতাকা দিয়েছে। এটা করেছে বেগম খালেদা জিয়া।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমিন টুলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, পৌড়মেয়র মনিরুজ্জামান মনির , সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক  জহিরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর ইসলামসহ পৌড় নেতৃবৃন্দ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!