বিএনপি প্রার্থী মনিরুলের মেয়ে সায়মার কান্না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৮:৪৪ পিএম
বিএনপি প্রার্থী মনিরুলের মেয়ে সায়মার কান্না

ঢাকা : কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কুমিল্লা-১০ আসনে দলীয় প্রার্থী সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীর অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।

সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগ্রামে মনিরুল হক চৌধুরীর বাড়িতে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।

শিক্ষক সায়মা ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক কারণে গায়েবি মামলায় জড়িয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখার জন্য বাবাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিজয়ের মাসেও কারাগারে বন্দি আমার বাবা। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ বাবার অবস্থা সংকটাপন্ন। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমরা কার কাছে বিচার চাইব।

সায়মা ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘ ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেননি বাবা। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমরা আজ কী দেখছি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় ২৪ অক্টোবর থেকে কারাগারে বন্দি আছেন বাবা। আজ তার জীবন সংকটাপন্ন। যেকোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন। এর বিচার আমরা কার কাছে চাইব, জবাব দেবে কে- বলে কান্না শুরু করেন সায়মা ফেরদৌস।

তিনি বলেন, এখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না। স্লোগান দিতে পারছেন না। ধানের শীষের পক্ষে যারা মাঠে নামেন তাদের নাম-ঠিকানা খুঁজে মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধরসহ হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। এ আসনে বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া কারাগারে।

সায়মা ফেরদৌস বলেন, আমিও প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র। এখানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। কারাগারে আমার বাবার সঙ্গে দলীয় নেতাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে কারাগারে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়ে বৃহস্পতিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন বাবা। তারপরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুস সা’দাত এবং দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!