সৌদি থেকে রেমিট্যান্স আসার হার কমছে

১৬৫ দেশে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি কর্মী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০১৮, ০১:৫১ পিএম
১৬৫ দেশে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি কর্মী

ঢাকা : সৌদি আরব থেকে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার ৯২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। তবে বিগত দুই অর্থবছরে এই রেমিট্যান্স আসার হার নিম্নমুখী হয়েছে। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে এ খবর মিলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে সংসদকে মন্ত্রী জানান, সৌদি থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৪৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৫৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ হাজার ৬৬৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১ হাজার ২০২ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরবেই সর্বাধিক ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ কর্মী গেছে। এর মধ্যে গত বছর গেছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫ দেশে মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৩ জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। মন্ত্রী আরো জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তারা দেশে ৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভিবাসন ব্যয় কম, চাহিদা ও বেতন বেশি। তাই বর্তমান সরকার দক্ষ কর্মী তৈরির ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। অধিক হারে জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সারা দেশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়েছে।

সংরক্ষিত আসনের এক নারী সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতারণার দায়ে বিগত আট বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যেসব কর্মী দেশে ফেরত আসছে সেসব কর্মীকে পুনর্বাসন করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। সেখান থেকে দেশে ফেরত আসা দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের ১১ শতাংশ সুদে পুনর্বাসন ঋণ দেওয়া হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চাহিদা না থাকায় বর্তমানে মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে কোনো কর্মী পাঠানো হচ্ছে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!