কোরিয়ায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

  • প্রবাস বাংলা ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০১৯, ০৪:৪৭ পিএম
কোরিয়ায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

ঢাকা: সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) পবিত্র ধর্মগ্রহন্থসমূহ থেকে পাঠের মধ্যে দিয়ে এ দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয় এরপর বিশদ আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিটির সদস্যসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন , যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ করেন। বক্তাদের অনেকের মতে, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের পর সবার প্রতীক্ষা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আগমনের।

প্রায় ২৫ দিনের প্রতীক্ষা শেষে বন্দীদশা থেকে স্বসম্মানে মুক্ত হয়ে তিনি যখন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন, সেদিনেই বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের প্রথম আনন্দে মেতে উঠে।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যর প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, যে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পরদিনই বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন।

তাঁর স্বপ্ন ছিল এদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার । আর লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের এবং তিনি আজীবন এ লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!