এএসপি মিজান হত্যাকাণ্ড: তদন্ত করবে ডিবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৭, ১২:০০ এএম
এএসপি মিজান হত্যাকাণ্ড: তদন্ত করবে ডিবি

ঢাকা: সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলাটির তদন্ত করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হত্যা মামলাটি এখন পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। ডিবির পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সার্বিক বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও পর্যবেক্ষণ করবেন। 

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২১ জুন) সকালে রাজধানীর রূপনগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে গলায় কাপড় (গার্মেন্টসের ঝুট) প্যাঁচানো অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশেরে এএসপি মিজানুর রহমানের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পঞ্চাশোর্ধ্ব মিজানুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের সাভার সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন।

এ ঘটনায় রাতে মিজানুরের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাত পরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে ওই থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম জানিয়েছেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর বিকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের পারিবারিক কবরস্থানে মিজানুরকে দাফন  করা হয়েছে।

তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিজানুরের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের চামড়ার নিচে জমাট রক্ত দেখা গেছে। গলায় দাগ রয়েছে। এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন রেখেছে আদালত।

পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন সাহরি খাওয়ার পর ভোর ৫টার দিকে সাধারণ পোশাকে উত্তরার বাসা থেকে কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন মিজানুর। বাসা থেকে গাড়িতে যাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট দূরত্বে তার লাশ পাওয়া যায় রাস্তার পাশে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণার কথা বলেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

চার ভাই বোনের মধ্যে মিজানুর রহমান ছিলেন সবার বড়। মিজানুর রহমানের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Link copied!