ঈদের টিকেট

কমলাপুরে প্রথম দিনেই উপচে পড়া ভিড়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ১০:১২ এএম
কমলাপুরে প্রথম দিনেই উপচে পড়া ভিড়

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির প্রথম দিন আজ। বুধবার ( ২২ মে) সকাল ৯টায় থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও নাড়ির টানে ঘরে ফেরার জন্য গতকাল রাত থেকেই স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। আর তাই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন কাউন্টারে এখন টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়।

সকালে সরেজমিনে রেলস্টেশনে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করতে দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের। কাউন্টারের সামনের ফাঁকা জায়গা ছাড়িয়ে ভিড়ের বিস্তৃতি স্টেশনের প্রবেশপথ পর্যন্ত। কাউন্টারের সামনে শুধু টিকিট প্রত্যাশী মানুষ আর মানুষ। লাইনে অপেক্ষারত কয়েকজন টিকেট প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) ইফতারের পর থেকে লাইনে আছেন তারা।

নীলসাগর ট্রেনের টিকিট পেতে গত রাত থেকে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন নাসির উদ্দিন খান। তিনি বলেন, সড়কপথের যানজট এড়াতে ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছি। রাত এখানেই কাটিয়েছি। এত বড় লাইন দেখে চিন্তায় রয়েছি। জানি না শেষ পর্যন্ত টিকিট পাবো কিনা।

হাবিবুর রহমান বলেন, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের জন্য অপেক্ষা করছি। গত ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম; আবার এই ঈদে বাড়ি যাবো। মা-বাবা গ্রামে থাকেন। তাদের সঙ্গে ঈদ করতেই টিকেট যুদ্ধে নেমেছি।

জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবারই প্রথম রাজধানীর পাঁচটি স্থান ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তবুও কমলাপুরে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। রাজধানীর পাঁচটি স্থান হলো-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়াও তেজগাঁও, বনানী এবং ফুলবাড়িয়া।  

আজ দেয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট নিতে পারবেন। এ বছর ৫০ ভাগ টিকিট অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হবে। কমলাপুরের ২৬টি কাউন্টারের মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য। প্রতিদিন দুই লাখ ৬০ হাজার যাত্রী রেলে ঢাকা ছাড়তে পারবেন।

কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।

ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
রেলসূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ৯৬টি আন্তনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামানো হবে।

এদিকে,  যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কমলাপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!