যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার মানুষের রোজা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৭, ০৪:১৯ পিএম
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার মানুষের রোজা

ফাইল ছবি

ঢাকা : মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজান মাসটি অত্যান্ত সম্মানিত। এ মাসে সূর্যোদয়ের আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও ধর্ম নির্দেশিত অন্যান্য অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে সিয়াম সাধনা করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার মুসলিমরাও নানা শঙ্কার মধ্যেই সিয়াম সাধনায় ব্যস্ত। আলজাজিরা ও সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে আমরা তাদের রমজানের চিত্র তুলে ধরছি। 

আহমদ আব্দুল আলিম ও তার ছেলে-মেয়ে

সিরিয়ার ইলদ্রিব শহরের বাসিন্দা আহমদ আব্দুল আলিম (৪০)। ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই শহর ছেড়ে পলিয়ে যান অন্যত্র। সম্প্রতি, প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ বাহিনী শহরটি দখলে নিলে নিজের শহরে ফিরেছেন। পুরোনো বাড়িতে ফিরে তিনি উৎফুল্ল, কিন্তু স্ত্রী সন্তানসহ ছয়জনের জন্য মাত্র দুটি ছোট ছোট ঘর। সেখানে নেই কোনো জানালা, হার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি ছাউনি, ঘরে কোনো আসবাবপত্রও নেই। সাধারণত এমন ঘরে থাকার অভ্যাস নেই তাদের। এর মধ্যেই রোজা রাখছেন আলিম পরিবার।

আবু ফারাজের ও তার পরিবার

আব্দুল আলিম বলেন, আমাদের ঘরে কোনো জানালা নেই। এই বদ্ধ ঘরেই রয়েছি। বাইরে যেতে ভয় করে। শঙ্কায় থাকি কখন যে কে হামলা করে। আমার ছোট মেয়েটি একবার হামলায় আহত হয়েছিল, তার পেটে ইনফেকশন হয়েছে। এসবের মধ্যেই আমরা রোজা রেখেছি।

আবু ফারাজের (৫২) একই অবস্থা। ৮ জনের সংসারে মাত্র একটি ঘর। তারও ঘরে কোনো আসবাবপত্র নেই। এই মানবেতর জীবনযাপনের মধ্যেই রোজা রাখছেন। অশ্রুসজল চোখে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এক আল্লাহ রয়েছেন। তিনিই দেখবেন।’ 

দামেস্কের একটি আলোক সজ্জার পশে এক কিশোরী

এদিকে, রমজান উপলক্ষে রাজধানী দামেস্ক ও ইলদ্রিবসহ সরকার নিয়ন্ত্রীত এলকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। শনিবার (২৭ মে) রমজান উপলক্ষে দামেস্কের প্রধান প্রধান স্থাপনাগুলো সাজানো হয় ঝাড়বাতিতে। শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদে জামায়াতের সঙ্গেই আদায় করা হয় তারাবির নামাজ। 
সূত্র: আল জাজিরা ও সিনহুয়া।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Link copied!