যৌথভাবে সেবা দেবে দারাজ ও কেমু

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০১৬, ০৪:৪৯ পিএম
যৌথভাবে সেবা দেবে দারাজ ও কেমু

দেশের অনলাইন শপিংয়ে ‘নম্বর ওয়ান’ অবস্থান তৈরির লক্ষে একসঙ্গে নিজেদের সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে শীর্ষস্থানীয় দুটি ই-কমার্স দারাজ ও কেমু। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান দুটি এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

কোম্পানি দুটি এক হলেও দুটি প্লাটফর্মই চালু থাকবে তাদের আগের নামেই। তবে তাদের কার্যক্রম এখন থেকে দারাজ গ্রুপের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। দারাজ ও কেমু তাদের ব্যবসা কাঠামো অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই দারাজ ও কেমু এখন একত্রে কাজ করায় দারাজ গ্রুপ দেশের ই-কমার্সের ৩৬০ ডিগ্রি স্বত্বাধিকার লাভ করতে সক্ষম হবে আশা করা যাচ্ছে।

দারাজ বি টু সি (বিজনেস-টু-কঞ্জুমার) হিসবে ব্রান্ড এবং আসল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে যাবে, যা বড় বড় বিক্রেতাদের ব্যাবসা কে ভিন্নমাত্রা দান করার মাধ্যমে উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। দারাজ ক্রেতাদের দেশি ও বিদেশিব্র্যান্ডের পণ্যের উপর ৭ দিনের রিটার্নপলেসি প্রদান করে যাবে। অপর দিকে কেমু অনলাইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত মার্কেটপ্লেস হিসেবে সরাসরি ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাণিজ্যিক প্লাটফর্ম হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।    

দারাজের এমডি বেঞ্জামিন দুফোউসিয়ে বলেন, আমরা অনেক আনন্দিত কেমুর সহকর্মীদের সাথে নিয়ে আরও দৃঢ় একটি প্লাটফর্ম গড়তে যাচ্ছি। দুটি ব্যবসা একীভূত হওয়াতে আমরা অনেকগুলো সুবিধা পেতে যাচ্ছি, যা ব্যবহার করে আমরা ব্যাবসাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।  

কেমু বাংলাদেশের এমডি কাজী জুলকারনাইন ইসলাম বলেন, কেমুর সি টু সি দক্ষতা এবং দারাজের সেরা বি টু সি কার্যক্রম একত্রে ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা কিনা দুটো ব্যবসা ভিন্নভাবে পরিচালিত হলে অর্জন করা সম্ভব হতো না।

দারাজ বাংলাদেশ :
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ২০১২ সালে এর যাত্রা পাকিস্তানে অনলাইন ফ্যাশান সাইট হিসেবে শুরু হলেও পরবর্তীতে এর বিজনেস মডেল ইলেক্ট্রনিক্স, হোম অ্যাপলায়েন্স, ফ্যাশানসহ আরও অনেক ক্যাটাগরির জন্য সাধারণ মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

কেমু বাংলাদেশ :
কেমু একটি উন্মুক্ত মার্কেটপ্লেস যা কিনা এশিয়ার মার্কেটে অগ্রগামী, যেখানে ক্রেতারা নতুন এবং পুরানো পণ্য ব্যাক্তি ও ক্ষুদ্র ব্যাবসা থেকে সেরা দামে পণ্য কিনতে পারেন। কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পাকিস্তানে যাত্রা শুরু করে, যার মালিকানা এশিয়া প্যাসেফিক ইন্টারনেট গ্রুপের (এ পি এ সি আই জি) এবং কিছু সংখ্যক ক্ষুদ্র শেয়ার মালিকদের।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Link copied!