‘গো ব্রডব্যান্ড’ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসলো গ্রামীণফোন

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৬, ১২:৩৬ পিএম
‘গো ব্রডব্যান্ড’ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসলো গ্রামীণফোন

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে দেশের ইতিহাসে ‘গো ব্রডব্যান্ড’ প্যাকেজ নিয়ে সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে বিটিআরসি। বুধবার (১৩ জুলাই) বিটিআরসির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এসএম গোলাম সরোয়ার স্বাক্ষরিত চিঠি গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।

টেলিকম আইন ভঙ্গ করে ‘গো ব্রডব্যান্ড’ সেবাটি অবৈধভাবে সোনালী ব্যাংকের ৫৫১টি শাখায় কেন দেয়া হয়েছে চিঠিতে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রেগুলেটরের কমিশন বৈঠকে এই নেটওয়ার্কটিকে দেশের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অবৈধ টেলিকম নেটওয়ার্ক’ বলে অভিহিত করা হয়।

বিটিআরসি জানায়, ব্যাংকের অনলাইন লেনদেন সহজতর করার জন্য গ্রামীণফোন একটি ফাইবার অপটিক কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করেছে, যা মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স নীতিমালা বিরুদ্ধে। মোবাইল অপারেটরগুলো শুধু মোবাইল ডিভাইস এবং মডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারবে।

দুই দফায় ব্যাখ্যা গ্রহণের পর ২২ জুন বিটিআরসি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় গ্রামীণফোনের সাথে সোনালী ব্যাংকের মধ্যকার ইন্টারনেট সার্ভিস ও ট্রান্সমিশন সেবার চুক্তি বাতিল করে। বিটিআরসির কমিশন মিটিংয়ের সিদ্ধানুসারে ‘লাইসেন্সের শর্ত ও টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গ করে ফাইবার অপটিক্সের মাধ্যমে ফিক্সড সংযোগ প্রদান করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে ইন্টারনেট সার্ভিস ও ট্রান্সমিশণ সেবা প্রদান করার জন্য গ্রামীণফোন ও সোনালী ব্যাংকের মধ্যকার সম্পাদিত চুক্তিটি অনতিবিলম্বে বাতিল করার নির্দেশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলো।

বিটিআরসি আরও জানায়, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সমগ্র বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ অফিস সমূহে (মোট ৫৫১টি স্থানে) ‘গো ব্রডব্যান্ড’ নামে শুধু গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন সংযোগ প্রদান করেছে বলে কমিশনকে জিপি তালিকাসহ প্রদান করেছে বলে জানা যায়। ইহা ইনফ্রাস্ট্রাকচার নীতিমালা’র ৪.৭ ও ৪.৮ নং শর্ত অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। গ্রামীনফোন কমিশন বা নীতিমালাকে সম্পূর্ণ অমান্য করে কোন এনটিটিএন অপারেটরদের সম্পৃক্ত না করে বা কমিশনে তথ্য প্রদান না করে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবথেকে বড় অবৈধ নেটওয়ার্ক স্থাপন করে সোনালী ব্যাংকের ব্রাঞ্চসমূহ কানেক্ট করেছে এবং লাইসেন্স না থাকা শর্তেও আইএসপি ব্যবসা পরিচালনা করছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করার জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে শোকজও ইস্যু করা হবে।’ তবে শোকজটি পাঠানো হয়েছে ২৫ দিন পর। টেলিকম আইন ২০০১ (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুনারে এ জন্য গ্রামীনফোনকে ৩ শত কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে বিটিআরসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Link copied!