কি অপরূপ মহাকাশ

  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০১৭, ০৯:৪৮ পিএম
কি অপরূপ মহাকাশ

ঢাকা: পৃথিবীর বাইরের মহাকাশ দেখতে কত না সুন্দর। তবে খালি চোখে দেখা প্রায় দুঃসাধ্য সেসব দৃশ্য। এর জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় বিজ্ঞানীদের ওপর। যান্ত্রিক চোখ দিয়েই দেখতে হয় গোটা মহাকাশ আর আমাদের চারপাশের প্রকৃতি।

স্যারিকেভ পিক আগ্নেয়গিরি

স্যারিকেভ পিক আগ্নেয়গিরি
রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জের একটি আগ্নেয়গিরি স্যারিকেভ পীক। ২০০৯ সালে এর উদ্গীরনের সময় ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার থেকে তোলা ছবিটি। জ্বালানি হল লাভা। এটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। গত ৫০ বছরে এটা নিয়ে পাঁচ বার উদগীরণ হয়েছে। সর্বশেষ পরিণতি এর নীচে থেকে লাভা সরে গেলে তা মৃত আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হবে।

৬৭পি/সি-জি ধুমকেতু

৬৭পি/সি-জি ধুমকেতু
সৌরজগতের জ্যোতিষ্কদের গন্ধ খুবই বাজে হতে পারে। তার প্রমাণ এই ধুমকেতুর গন্ধ। খুবই প্রখর গন্ধ। এতে ডিম পচা( হাইড্রোজেন সালফাইড ), ঘোড়ার আস্তাবলের (এমোনিয়া ) এবং তিক্ত দম বন্ধ করা ফরমালডিহাইডের গন্ধ পাবেন। এসবের সাথে হালকা এলমন্ডের মত হাইড্রোজেন সায়ানাইডের গন্ধও যোগ করতে হবে। সাথে একটু এলকোহল (মিথানল), ভিনিগারের মত গন্ধের সালফার-ডাই-অক্সাইড ও খুবই কম পরিমাণে কার্বন-ডাই-সালফাইডের মিষ্টি সুগন্ধি। সবকিছু একসাথে মেশালে যে গন্ধটা হবে সেটাই এই ধুমকেতুর গন্ধ।

জেলিফিস নেবুলা

আইসি৪৪৩- জেলিফিস নেবুলা
সবুজ রঙের কারণ হাইড্রোজেন, নীল হল অক্সিজেন এবং লাল রঙের জন্য দায়ী সালফার। নেবুলাটি প্রশস্ততায় প্রায় ৬৫ আলোকবর্ষ। পৃথিবী থেকে প্রায় ৫,০০০ আলোক বর্ষ দূরের।

শুক্রের আকাশ

শুক্রের আকাশ
সালফিউরিক অ্যাসিডের খুবই ঘন মেঘ দিয়ে আচ্ছন্ন যা দিয়ে কোনোভাবেই দৃশ্যমান আলো ঢুকতে পারে না। একারণে অপ্টিক্যাল টেলিস্কোপ দিয়ে শুক্রের বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠ দেখা সম্ভব হয় না। শুক্র সম্পর্কে যতটুকুই জানা সম্ভব হয়েছে তা শুক্রকে প্রদক্ষিণ করা ইউএস ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো স্পেসশিপের রাডার ইমেজের মাধ্যমে। ছবিটি শুক্রে ভূপৃষ্ঠের একমাত্র ছবি যা রাশিয়ার পাঠানো ভেনেরা-২ এর প্রোব থেকে তোলা। শুক্র পৃষ্ঠে অবতরণের মাত্র কয়েক ঘন্টার ভেতর উচ্চ তাপমাত্রায় প্রোবটি অকেজো হয়ে যায়।

শার্পলেস

শার্পলেস ৩০৮
নেবুলাটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫২০০ আলোকবর্ষ দূরের। এটির ব্যাস প্রায় ৬০ আলোকবর্ষ। মাঝখানে যে তারাটি দেখা যাচ্ছে সেটি সূর্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুন ভারী। বাবলটির বয়স প্রায় ৭০ হাজার বছর। নীল রঙের কারণ আয়োনাইজড অক্সিজেন গ্যাস।

অরোরা 

অরোরা 
জোকুলসারলন, আইসল্যান্ড থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে তোলা। সম্পূর্ণ লেগুন অরোরায় আলোকিত। সাথে পানিতে অরোরার প্রতিফলন। সেরা অ্যাস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফ, ২০১৬ এর সপ্তম সেরা ছবি।

হারিকেন

হারিকেন আইভানের চোখ
গ্রেনাডার শতকরা ৯০ ভাগ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ঝড়ে। ২০০৪ সালে ঘটা আইভান ক্যাটাগরি ৫ লেভেলের হারিকেন। স্যাফির-স্যাম্পসন স্কেলে এর চেয়ে বেশি মাত্রার ঝড় হতে পারে না। এই ক্যাটাগরিতে ঝড়ের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ২০০ কিমির উপরে। আইভান আমেরিকায় ২০০৪ সালে হওয়া সবচেয়ে বড় এবং ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ঝড়। ছবিটি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার থেকে তোলা ।

ডাব্লিউটিসি

ডাব্লিউটিসি
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পুড়ছে। নিউ ইয়র্ক, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। সূত্র: মহাকাশের কথা।

সোনালীনিউজডটকম/এমএন

Link copied!