মৌমাছি রক্ষা করবে স্মার্ট মৌচাক

  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮, ১০:২৮ এএম
মৌমাছি রক্ষা করবে স্মার্ট মৌচাক

ঢাকা : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্মার্ট মৌচাক’-এর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন গবেষকরা। প্রকৃতির উপকারী পতঙ্গটির সংখ্যা কমছে। বিজ্ঞানীরা এ কারণে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌমাছিকে বিপন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষার উপায় নিয়ে কাজ করছেন।

কেননা মানবসভ্যতায় মৌমাছির প্রভাব এত বেশি যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি হারিয়ে গেলে পরিবেশের ভারসাম্যের সঙ্গে সভ্যতার ভিত্তিও নড়বড়ে হয়ে পড়বে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মৌমাছির সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো না গেলে খাদ্য বিপর্যয়ে পড়তে পারে বিশ্ব। এ জটিল সমস্যা সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আধুনিক সব প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন গবেষকরা।

প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বব্যাপী মৌমাছির তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে দুটি প্রকল্প। ‘ওয়ার্ড বি প্রজেক্ট’ ও ‘ওরাকল’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্মার্ট মৌচাক’-এর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন গবেষকরা। এসব মৌচাকে ছয়টি সেন্সর লাগানো থাকে। যেগুলো মৌমাছির ভন ভন শব্দ, পায়ের ও পাখার গতিবিধি, মধুর ওজন, মৌচাকের আর্দ্রতা ও স্থানীয় পরিবেশে দূষণের পরিমাণের তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করে।

এসব তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের সহায়তায় পর্যালোচনা করে মূল কারণটি বের করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে মৌচাক ছেড়ে অর্ধেকের বেশি মৌমাছি যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন মৌ চাষীরা। অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে রানীকে একলা রেখে চাক ছেড়ে সব কর্মী মৌমাছি পালিয়ে গেছে। এর কারণ মৌচাকে অপর্যাপ্ত বাতাস চলাচল ও উচ্চ তাপমাত্রা। এসব উপসর্গ আগেই নির্ণয় করা গেলে মৌমাছির চাক ছেড়ে চলে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন গবেষকরা। বছরে যে পরিমাণ খাদ্য মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত হয় সেগুলোর আর্থিক মূল্য আনুমানিক ২২ হাজার কোটি ডলার।

এ অর্থনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী ১৪০ কোটি মানুষের জীবিকা। তাই মৌমাছির জীবন হুমকির মুখে পড়লে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও হুমকির মুখে পড়বে। কতটা কমছে, কেন? ১৯৮৫ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে মৌমাছির পরিমাণ কমেছে ৫৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪৭ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে কমেছে ৫৮ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!