শেখ হাসিনার সাফল্যের ধারাকে বর্ণিল করেছে তথ্যপ্রযুক্তি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম
শেখ হাসিনার সাফল্যের ধারাকে বর্ণিল করেছে তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের আইসিটি খাতে ইতোমধ্যেই নীরব বিপ্লব ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেছেন, রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত জনপদে আজ হাতের মুঠোয় বিশ্ব যোগাযোগের নেটওয়ার্ক।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যাগে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মশালায় যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিকসহ প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করছে। এসব অর্জনের ধারাকে বর্ণিল করে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে যারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, তাদের বিপক্ষে সবাইকে সত্য প্রচারে অনলাইন একটিভিস্ট গ্রুপ গড়ে তুলতে হবে। 

সরকার বিরোধী কোনো অপপ্রচার বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, একটি মহল মাঠের রাজনীতিতে সফলতা না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের প্রস্তাব রাখেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কনসেপ্টটি নির্বাচনী ইশতেহারভুক্ত করে আওয়ামী লীগ। এই প্রস্তাবনাটি কেবল বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্তই ছিল না, এটি ছিল বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলার অনন্য এক অভিযাত্রা।

সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জয় উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে তথ্যপ্রাপ্তি এখন অনেক সহজ হয়েছে। সম্প্রতি এক বক্তব্যে জয় বলেছেন, দেশের সরকারি যত সেবা আছে, তা দেশের সব মানুষের হাতের মধ্যে পৌঁছে দেব। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব। দেশের মানুষকে আর সরকারি দপ্তরে আসতে হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!