খালেদা ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জোট শরিকরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০১৮, ০৬:২৭ পিএম
খালেদা ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জোট শরিকরা

ঢাকা: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ বৈঠক ডেকেছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ৫০২ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি করা হয়। এটাই হবে কমিটির প্রথম বৈঠক। এতে খালেদা জিয়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। 

এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে জামায়াতসহ শরিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, জোটের সভা আগেও হয়েছে। আমরা গত সভাতেই আলোচনা করেছি, সরকার আমাদের চাপে রাখতে কৌশল হিসেবে নানা ইস্যু সামনে হাজির করছে। কিন্তু আমরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেব না। শেষ সময়ে অতীতেও অনেক সরকার বিরোধীদের দমনে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু ফায়দা হয়নি, পতন ঘটেছে। শেখ হাসিনার পরিণতি তা-ই হবে। জোট নেত্রী খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে যাব না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির একাধিক শরিক জানিয়েছেন, দীর্ঘ বৈঠক ও আলোচনা হলেও কোনো মতামত বা সিদ্ধান্ত দেননি বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি শুধু সবার মতামত নিয়েছেন। তার দলের তৃণমূল নেতাদের মতামত নেওয়ার পর চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শনিবার রাতে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। ওই সভায় ৩ ফেব্রুয়ারি দলের নির্বাহী কমিটির সভা ডাকার সিদ্ধান্ত হয়। 

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ আলোচনার সভায় চলমান ঘটনাবলি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তাতে চেয়ারপারসনের মামলা, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। আমরা আমাদের নিজস্ব মতামত জানিয়েছি। তবে সবাই ঐকমত্য, খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। 

তিনি আরো জানান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সকল স্তরের কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবেন দলীয় প্রধান। এটা নির্বাচনের বছর। নেতাকর্মীরা ডাক পেলে রাস্তায় নেমে আসবে বলে মনে করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

ওই কমিটির বৈঠকের সারাংশ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ। 

আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য এবং সকলের অংশগ্রহণে ইলেকশন নষ্ট করার জন্য এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। বেগম খালেদা জিয়াসহ কয়েকজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে সরকারের আইন-আদালতের নিয়মনীতির বিরুদ্ধ আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় সভা থেকে। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Link copied!