ধ্রুব তারার মতো জ্বললেন আফিফ, জিতল বাংলাদেশ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ১১:৩১ পিএম
ধ্রুব তারার মতো জ্বললেন আফিফ, জিতল বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশের ক্রিকটাকাশে উদিত হলো নতুন তারকার। তিনি আফিফ হোসেন। ডাক নাম ধ্রুব। যেন ধ্রুব তারার মতোই তিনি উদিত হলেন। ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে হারা ম্যাচ আফিফ জিতিয়ে দিয়েছেন ৩ উইকেটে। জিম্বাবুয়ের ১৪৪ রান বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে ২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেট হারিয়ে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়।  ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয় ১৮ ওভারে। আগে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট ফেলে দিয়েও তাদের স্বল্প রানে বেঁধে রাখা যায়নি। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪৪ রান। বাংলাদেশকে জিততে হলে করতে হবে ১৪৫।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারে স্টাম্প ওপেন করে চাতারাকে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন (১৪ বলে ১৯)। এ সুযোগে ইয়র্কারে লিটনকে বোল্ড করেন চাতারা। সৌম্য শুরু থেকেই বেশ অস্থির ছিলেন। তারই খেসারত গুণে আউট হন তিনি। আগের ওভারেই উইকেট পড়েছে, তা ভুলে কাইল জার্ভিসকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্য (৭ বলে ৪)।

সবচেয়ে বড় আঘাতটা লেগেছে ওই ওভারের (চতুর্থ) চতুর্থ বলে। জার্ভিসের বাউন্সার সামলাতে না পেরে ক্যাচ দেন মুশফিক (১ বলে ০)। পঞ্চম ওভারে সাকিবকে (৩ বলে ১ রান) তুলে নেন চাতারা। তাঁকে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পঞ্চম উইকেট জুটিতে বিপর্যয় মেরামতের চেষ্টা করছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির। কিন্তু নবম ওভারে প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহকে (১৬ বলে ১৪ রান) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন রায়ান বার্ল।

পরের ওভারে সাব্বির রহমান ফেরায় আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। মাদজিভার করা ১০ম ওভারের তৃতীয় বলে স্লগ চালিয়ে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে তুলে মেরেছিলেন সাব্বির। দৌড়ে এসে অবিশ্বাস্য ক্যাচে সাব্বিরকে (১৫ বলে ১৫ রান) তালুবন্দী করেন বার্ল। তারপরই উইকেটে আসেন আফিফ হোসেন। বলতে গেলে তিনি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ২৪ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে একহাতে জিতিয়ে দিলেন। একেবারে জয়ের খুব কাছে গিয়ে শেষ ওভারে আউট হলেন আফিফ। তখন বাংলাদেশের জয় ঢিল ছোরার দুরত্বে। তার আগে আফিফের ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস অনেকদিন মনে থাকবে এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। তার এই ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছক্কা। যাকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন সেই মোসাদ্দেক হোসেন ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। চার মেরে শেষটা করলেন সাইফউদ্দিন।

এর আগে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই তাইজুল তুলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরকে। এ ম্যাচ দিয়ে এতদিন পর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হয়েছে তাইজুলের।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন তাইজুল। প্রথম বলেই টেলরকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন বাঁ হাতি এই স্পিনার। এরপর আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন (১১) মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। নিজের প্রথম ওভারে এসেই মোসাদ্দেক কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফিরিয়েছেন শন উইলিয়ামসকে (২)। আর রান আউট হয়েছেন মারুমা (১)। ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে।

এখান থেকে বড় জুটি গড়েন মুতামবুঝি ও রায়ান বুরাল। আর এ দুজনের কল্যাণেই ৫ উইকেটে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এর মাঝে সাকিবের এক ওভারে তিনটি করে চার-ছক্কা মেরেছেন রায়ান। ওই ওভারেই তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন। শেষ অবধি রায়ান ৩২ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুতামবুঝি করেন ২৭। একটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল, মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Link copied!