তামিমের খুব সাহস, বললেন পাপন

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৮:১০ পিএম
তামিমের খুব সাহস, বললেন পাপন

ঢাকা: দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম।

ভিডিও বার্তায় তার এ সিদ্ধান্তের কিছু কারণ জানিয়েছেন তামিম। কিন্তু হুট করে দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি সবাইকে চমকেই দিয়েছে।

চমকে গেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিনি বলেন, তামিমের খুব সাহস। খুব সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। আজ (বুধবার) বিসিবির সভা শেষে শেরে বাংলার মিডিয়া প্লাজায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এ কথা বলেন পাপন।

বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলে আসছি তামিম আমাদের এক নম্বর ওপেনার। মুশফিকুর রহিম সেরা ব্যাটসম্যান। মাশরাফি বিন মর্তুজা সেরা অধিনায়ক। আর সন্দেহাতীতভাবেই সাকিব সেরা ক্রিকেটার। তাই ওপেনিংয়ে তামিম সবসময়ই আমাদের প্রথম পছন্দ।’

তামিম খেলতে চাইলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে রাখা হতো, জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সে জানতো যে, দলে থাকলে তাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলানো হবে। কিন্তু তামিম অনুভব করেছে, সেটা অন্যদের ওপর অবিচার হতো। তাই সে নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে।’

পাপন যোগ করেন, ‘আজ বোর্ডে আসার আগে গাড়িতে বসে দেখলাম তামিমের কথাবার্তা। এটা আমি নেতিবাচকভাবে বলছি না। আপনারা আগেও দেখেছেন, তামিম সবকিছুই সিরিয়াসলি নেয়। এটাও সে সিরিয়াসলি নিয়েছে।’

এখন যে দলটা, সেটা কিন্তু ভালো খেলছে। একটা দল যখন ভালো খেলছে তার মধ্যে খুব একটা বদল করা যায় না। সবমিলিয়ে ও যে কথাগুলো বলেছে, খুব ভালো কথা বলেছে। ও মনে করেছে যে, সে খেললে অনেকের প্রতি অন্যায় হতে পারে। এটা একটা কারণ। আর সরাসরি ইনজুরি থেকে ফিরে বিশ্বকাপ খেলা, এটা খুব কঠিন।’

তামিমের সাহসী সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বোর্ড সভাপতি। তার ভাষায়, ‘সে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব আজকে যে দলের তালিকাটা আমাকে দিয়েছে (বিশ্বকাপের), সেখানেও তামিম ছিল। এখন অবশ্য থাকছে না।’

এদিকে প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে আছেন পাপন। আরও এক মেয়াদ কি এই পদে থাকবেন নাজমুল হাসান পাপন? উত্তরে বললেন, ‘পরিচালক হতে পারি, সভাপতি নাও হতে পারি। এবার নির্বাচনটা উন্মুক্ত রাখতে চাচ্ছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমার সমস্যাটা হচ্ছে, এখন সভাপতি হিসেবে কাজের চাপটা এত বেশি যে সেটা আমি চাচ্ছি না। আমি এটা উপভোগ করি কিন্তু এই পুরো সময়টা দেওয়া সামনে প্রায় অসম্ভব। যদি সময় না দিই তবে বোর্ড ভুগবে, সেটা আমি চাই না। এজন্য প্রেসিডেন্ট পদে বা পরিচালক পদেও নতুন কেউ যদি আসে তাহলে সেটা সহজ হবে। আমি সেটাই চেষ্টা করছি, গতানুগতিক অবস্থা থেকে বের হতে চাচ্ছি।’

সোনালীনিউজ/এআর

Link copied!