ঢাকা: তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের মেয়েদের। তিন ম্যাচ সিরিজের ফাইনাল টি-টোয়েন্টিতে ১২৩ রানের পুঁজি নিয়েও শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাইয়ের হাত থেকে রেহাই পেল না বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের কাছে নিগাররা হেরে গেছে ৪ উইকেটে।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ছেলেদের ক্রিকেটে এই রান অনেক বড় না হলেও মেয়েদের ক্রিকেটে অনেকটাই কঠিন। তার ওপর ১৬ থেকে ১৯-এই তিন ওভারে কোনো বাউন্ডারিও মারতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করে টি-টোয়েন্টিতে উল্টো বাংলা ওয়াশ হল টাইগ্রেসরা।
১২৩ রান তাড়া করতে নামা আয়ারল্যান্ড শুরুটা করেছিল ভালোই। দুই ওপেনার গ্যাবি লুইস ও অ্যামি হান্টার ৭ ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৫১ রান। তবে অষ্টম ওভারে জান্নাতুল ফেরদৌস হান্টারকে (২৮) এবং নবম ওভারে রাবেয়া খান লুইসকে (২১) আউট করে দিলে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে বাংলাদেশের অন্য বোলাররা চাপ তৈরি করলে ম্যাচে পেছাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। ১৯ ওভারের খেলা যখন শেষ হয়, তখনো ১৫ রান দরকার সফরকারীদের। লেগ স্পিনার স্বর্ণার প্রথম বলে আর্লেন ক্যালি রানআউট হলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল।
তবে স্বর্ণার দ্বিতীয় বল থেকে ডাবলস নেওয়া ডিলানি পরের তিন বলকেই পাঠান বাউন্ডারিতে। এর মধ্যে পঞ্চম বলে যে চারটি হয়েছে, সেটি লং অফে থাকা জান্নাতুল ফেরদৌদ কিছুটা পেছনে থাকলে ক্যাচও হতে পারত, নিদেনপক্ষে চার আটকানো যেত।
এর আগে বাংলাদেশের রানটা হতে পারত আরও বেশি। মুরশিদা খাতুন দ্রুত আউট হলেও সোবহানা মোস্তারি ও শারমিন আক্তার দলকে এনে দেন ভালো ভিত্তি। সপ্তম ওভারে পঞ্চাশ–ছোঁয়া বাংলাদেশের স্কোর ১৩তম ওভারে পৌঁছায় ১০০ রানে। কিন্তু ১১ বলের মধ্যে দুজনই ফিরলে বাংলাদেশের রানের গতি ধীর হয়ে পড়ে। শেষ ৭ ওভারে মোটে ২২ রান যোগ করে বাংলাদেশ, হারায় ৬ উইকেট।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৪৫ রান করেন মোস্তারি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শারমিনের ৩৩ বলে ৩৪ রান। তবে দিনশেষে পুরো দলকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়েই।
২০২৪ সালে এটি ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের শেষ ম্যাচ। এ বছর দেশের দেশের মাটিতে বা আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টিও জিততে পারেনি নিগার সুলতানার দল।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :