লিটনের ফিফটি–সাইফউদ্দিনের নৈপুণ্যে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
লিটনের ফিফটি–সাইফউদ্দিনের নৈপুণ্যে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

রোমাঞ্চে ভরা শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ছক্কা–চারে আসে ১৩ রান, আর তাতেই শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় মাত্র ৩। সেই সহজ সমীকরণ ২ বল হাতে রেখেই মিলিয়ে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফলে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল লিটন দাসরা।

চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের সেরা ব্যাটার ছিলেন টাকার—৪১ রান। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস, ৩৭ বলে তার সংগ্রহ ৫৭ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত রান তুলতে থাকলো বাংলাদেশ। কিন্তু ৭ রান করে রানআউট হন তানজিদ তামিম। ২৬ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তবে অপর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন খেলেন দারুণ ইনিংস—২৮ বলে ৪৩ রান। তিনে নেমে লিটন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের আরেক ফিফটি। ৩৪ বলে ফিফটির পর শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানে আউট হন তিনি।

মাঝে তাওহিদ হৃদয় ও নুরুল হাসান সোহানের দ্রুত বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে দল। কিন্তু শেষে সাইফউদ্দিনের ৭ বলে অপরাজিত ৭ রানে মিলিয়ে যায় সব শঙ্কা, নিশ্চিত হয় জয়।

স্টার্লিং–টেক্টর জুটিতে দুর্দান্ত সূচনা পায় আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম তিন ওভারেই তুলে ফেলেছিল ৪০ রান। তৃতীয় ওভারে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে খেলা থেমে যায় প্রায় দশ মিনিট। তবে বিরতি সত্ত্বেও আক্রমণাত্মকই ছিল আইরিশরা।

৫ম ওভারে স্টার্লিংকে (১৪ বলে ২৯) থামান তানজিম সাকিব। এরপর পাওয়ার প্লেতে ৭৫ রান তুলে সফরকারীরা—এটি টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ।

২৫ বলে ৩৮ করা টিম টেক্টরকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরান শেখ মেহেদি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড; হ্যারি টেক্টর ও বেন কার্টিজ দ্রুত ফিরলে চাপ বাড়ে তাদের ওপর।
তবে শেষদিকে টাকারের লড়াই (৪১) তাদের এনে দেয় ১৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ।

শেষপর্যন্ত লিটনের নেতৃত্ব, ইমনের দারুণ শুরু এবং সাইফউদ্দিনের স্নায়ুচাপ সামলানো ইনিংস মিলিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ।

এম

Link copied!