সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারলো রাজশাহী

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০১৬, ০৭:৩৩ পিএম
সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারলো রাজশাহী

ঢাকা : প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ রাজশাহী কিংস এভাবে হারবে কেউ কল্পনা করেননি। রাজশাহীর ব্যাটিংয়ের শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত সবাই দেখছিল একপেশে ম্যাচই। কিন্তু অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর করা শেষ ওভারেই ছিল যাবতীয় রোমাঞ্চ। তার শেষ বলে নাজমুল ইসলাম স্টাম্পড হওয়া মাত্রই আনন্দের রেণু ছড়িয়ে পড়ে খুলনা শিবিরে। 

ডাগ আউট থেকে খেলোয়াড় কর্মকর্তারা ছুটে গেলেন মাঠের ভিতরে। হারা ম্যাচ জিতে গেলে এমন বাঁধনহারা উল্লাস হওয়াই স্বাভাবিক। এদিন রাজশাহীকে জেতার জন্য খুলনা মাত্র  ১৩৪ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল। আর তাতেই ৩ রানের জয় পেলো মাহমুদুল্লাহর খুলনা। অথচ এই ম্যাচটি কত সহজেই না জেতার কথা ছিল রাজশাহীর। শেষ ৯ বলে পদ্মাপাড়ের দলটির জেতার জন্য দরকার ছিল ৯ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট।

ঠিক এই সময় ফরহাদ রেজা অহেতুক জুনায়েদ খানের বলে চালাতে গেলেন। শর্ট কাভারে দারুন এক ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করলেন না মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচ তখনো নিয়ন্ত্রণে ছিল রাজশাহীর। 

শেষ ওভার থেকে দরকার ছিল ৭ রান। টি২০ ক্রিকেটে যেটা মোটেও কঠিন নয়। হাতে ৩ উইকেট। কিন্তু সবাইকে অবাক করে বোলিংয়ে এলেন স্বয়ং খুলনার অধিনায়ক। অবাক হওয়ার বড় কারণ হলো সদ্য শেষ  হওয়া আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড সিরিজে বল হাতে  খুব একটা দেখা যায়নি মাহমুদুল্লাহকে।

সেই তিনি এসে বাজিমাত করে দিলেন। মাহমুদুল্লাহর ওভারটি খেলতেই পারলো না রাজশাহীর লেজের ব্যাটসম্যানরা। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিল দেখলেন ইংল্যান্ড সিরিজের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। আর দশ নম্বরে নেমে কিছু করার যে সুযোগই তিনি পেলেন না! 

তবে হারার আগে টি২০ মেজাজে ব্যাট করে গেছেন টেস্ট বিশেষজ্ঞের তকমা গায়ে সেটে  যাওয়া মুমিনুল হক। বিপিএল শুরুর আগেই জাতীয় দলের ওয়ানডে ও টি২০ দলে ডাক না পাওয়ায় হতাশা ঝরেছিল তার কন্ঠে। সেই হতাশা থেকেই বোধহয় একটা পণ করেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি গড়ের মালিক। 

উইকেটের চারপাশে সবধরণের শটস খেলে ৫৭ বলে করেছেন ৬৪ রান। চার মেরেছেন ছয়টি। টি২০ ক্রিকেটে এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। বাকিদের মধ্যে কেবল বলার মতো রান করেছেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি, ২৩ বলে ৩১। জুনায়েদ ২৩ রানে ৪টি, ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। ২৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম।

এরআগে রিকি ওয়েসেলস ও মাহমুদুল্লাহ দুজনই ৩২ রান করে করলে নির্ধারিত  ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা টাইটানস। ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন জাতীয় দল থেকে দীর্ঘসময় বাইরে থাকা আবুল হাসান রাজু।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম 
 

Link copied!