অবশেষে আলোকিত হচ্ছে হকি স্টেডিয়াম

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৭, ০৬:৫৫ পিএম
অবশেষে আলোকিত হচ্ছে হকি স্টেডিয়াম

ঢাকা: আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে বসছে এশিয়া কাপ হকির আসর। এ লক্ষে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের একটি শর্ত ছিল। আর তা হল মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে বসাতে হবে ফ্লাডলাইট। নানা জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে আলোকিত হতে যাচ্ছে দেশের এক মাত্র হকি স্টেডিয়ামটি। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় ফ্লাডলাইট স্থাপনের জন্য ফেডারেশনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে ১০ কোট টাকার প্রকল্পটি।  

মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট ও পূর্ণাঙ্গ পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ শেষ করতে ছয় মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই দরপত্র আহ্বান করা হবে, কাজ শেষ করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। আমরা চাইব দ্রুত শেষ হোক কাজ, যাতে নির্বিঘ্নে আায়োজন করতে পারি এশিয়া কাপ।’

ভারত-পাকিস্তানসহ অনেক দেশেই ফ্লাডলাইটে হকি খেলা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক যে কোন আসর আয়োজনে মাওলানা ভাষানী হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন যেন বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। এ বছরের নভেম্বরে চ্যাম্পিয়নস হকি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে হবার কথা থাকলেও ফ্লাডলাইট না থাকায় তা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে মালয়েশিয়ায়।

অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ফ্লাডলাইট ও পূর্ণাঙ্গ পাওয়ার স্টেশন স্থাপন ছাড়াও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, লিফট এসব বিষয়ে হকি ফেডারেশনকে ১০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

হকি স্টেডিয়ামের চার কোণায় চারটি টাওয়ারে বসবে লাইটগুলো। মাঠের মাঝখানে লাক্সের মাত্রা হবে ১২৫০। হকি ফেডারেশন শুধু ফ্লাডলাইট স্থাপন করেই বসে থাকতে চায় না। এবারের হকি ওয়ার্ল্ড লিগ রাউন্ড-২ আয়োজনের সময় দেখা গেছে বেশ কিছু ঘাটতি। বিশেষ করে মাঠের পাশে খেলেয়াড়দের বসার স্থান ও ড্রেসিং রুমের সংস্কারও প্রয়োজন, কারণ এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের ক্ষেত্রে অনেক কিছুতেই ছাড় দেবে না এশিয়ান হকি ও আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন। তাই অনুশীলন টার্ফসহ ভিআইপি গ্যালারি ও প্রেস বক্সের উন্নয়নও করতে চায় ফেডারেশন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Link copied!