ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন ভেঙে দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৮, ১১:০৯ পিএম
ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন ভেঙে দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

ঢাকা: ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির মতো বড় বড় নাম ছিল না ঠিকই। থাকলে ফাইনালের লড়াই কেমন হতো, তা অজানা। কিন্তু রোববার লুঝনিকি যে অসম্ভব উত্তেজনা, দম বন্ধ করা উদ্বেগ আর অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের সাক্ষী থাকল, তা অবিস্মরণীয় হয়ে রইল। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভরিট হিসেবে যে সোনালি সফরের সূচনা করেছিলেন গ্রিজম্যানরা, তার ক্লাইম্যাক্সও লেখা হল স্বর্ণাক্ষরে।

বেলজিয়ামকে হারিয়ে সেমিফাইনাল জয়ই ইঙ্গিত দিয়েছিল, এ দল অপ্রতিরোধ্য। ফরাসি বিপ্লব ঘটিয়েই দম নেবে। এমবাপ্পে, গ্রিজম্যানরা এদিন ফেরালেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেই ইতিহাসকে। যেদিন প্রথমবার ব্রাজিলকে মাটি ধরিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলেছিলেন জিনেদিন জিদানরা। না, আর কোনও অঘটন নয়। ঘটনাবহুল বিশ্বকাপের হ্যাপি এন্ডিং হলো হাফ ডজন গোল আর ফেভরিটের জয় দিয়েই।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা কখনও হয়নি, রোববার লুঝনিকি সাক্ষী থাকল সেই দৃশ্যের। ফাইনালের মঞ্চে আত্মঘাতী গোল। একটা আত্মঘাতী গোলই থামিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলের বিজয়রথ। একটা আত্মঘাতী গোল আয়োজক দেশের বিদায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল। আর ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সেই আত্মঘাতী গোলেই মৃত্যু হলো ক্রোয়েশিয়ার রূপকথার সফরের।

মানদুজুকিচ বুঝতেও পারেননি তাঁর মাথা ছুঁয়ে যাওয়া বলটাতেই বিদায়ের গাঁথা লেখা হয়ে যাবে। চলতি বিশ্বকাপে একডজন আত্মঘাতী গোলের নজির তৈরি হলো। কিন্তু একটা ভুল হলেও যে মেনে নেওয়া যেত। প্রথমার্ধেই যে আরও একটা বড় বিপর্যয় ঘটালেন পেরিসিচ। বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করে বসলেন। সেই ঘটনার খানিক আগেই তাঁর বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত শটে যে গোলটা সমতায় ফিরিয়ে ছিল, তখন তা একেবারে ফিকে। কারণ তাঁর সেই ভুলই দালিচের রক্তক্ষয়ী সফরে ইতি টেনে দিল।

৪২ লক্ষ মানুষের দেশের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হলো। ডেভিড সুকের হওয়া হল না মডরিচের। সোনার পরিকে খাঁচা বন্দি করতে পারলেন না দালিচ। আর ক্রোয়েশিয়ার গ্রহণের দিন পূর্ণিমার চাঁদের মতো ফ্রান্সের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠল একটা নাম। তিনি দিদিয়ের দেশঁম। ব্রাজিলিয়ান মারিও জাগালো এবং জার্মান কিংবদন্তি বেকেন বাওয়ারের পর ফুটবলার ও কোচ হিসেবে দলকে ট্রফি জয়ের স্বাদ দিলেন দেশঁম।

প্রথমার্ধে দলের তরুণ তুরুপের তাসকে লুকিয়ে রেখেছিলেন দেশঁম। দ্বিতীয়ার্ধে ঝলসে উঠলেন তিনি। এমবাপ্পের গোলেই দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত ফ্রান্সের। তার আগে আরও একটা করে ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পল পগবা। ফাইনালে এরপর শিরদাঁড়া সোজা রেখে খেলা যেনতেন কথা নয়। তারপরও যে মান্ডজুচিক একটি গোল শোধ করেছিলেন, সেটাও তো ক্রোটদের বড় পাওনা। আন্ডারডগ হিসেবে রাশিয়ায় পা রেখেও অনেক মাথা উঁচু করেই ফিরছে ক্রোয়েশিয়া।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Link copied!