তামিম-সৌম্যর জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮, ০৬:৫৬ পিএম
তামিম-সৌম্যর জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ঢাকা: সৌম্য সরকার এবং তামিম ইকবালের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আট উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে টাইগাররা। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ৩ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে ১১.৩ ওভার হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে সফরকারীদের হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ওয়েস্ট উন্ডিজের দেয়া ১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিয়ে নেমে দলকে সুন্দর শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। জুটি যখন জমে উঠেছে, তখনই ব্যক্তিগত ২৩ রানে বাজে শট খেলে কিমো পলের বলে পাওয়েলের তালুবন্দি হন লিটন। ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।

তামিম ইকবালের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। দারুণ ব্যাটিংয়ে তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন এই দুজন। ৬২ বলে ক্যারিয়াররে ৪৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গী সৌম্য সরকার ক্যারিয়ারের ৭ম হাফ সেঞ্চুরি করতে খেলেন ৬২ বল।

হাফ সেঞ্চুরির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন সৌম্য সরকার। উইকেটের চারদিকে দেখা যায় তার চোখ ধাঁধানো সব শট। টার্গেট কম হওয়ায় সেঞ্চুরি হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল। তবে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে কিমো পলের বলে বোল্ড হয়ে যান ৮০ বলে ৫ চার ৫ ছক্কায় ৮০ রান করা এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩১ রানের অসাধারণ জুটি। তামিমের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তামিম ৮১* এবং মুশফিক ১৬* রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতেই স্পিন আক্রমণে আগের ম্যাচের মতোই চন্দ্রপল হেমরাজ (৯) কে মোহাম্মদ মিঠুনের তালুবন্দি করেন মেহেদী মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটও আসে এই তরুণের ঘূর্ণিতে। ড্যারেন ব্রাভোকে বোল্ড করে ভাঙলেন জমে উঠতে থাকা জুটি। উইন্ডিজের দলীয় ৫৭ রানে লেগ-মিডল স্টাম্পে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ। তৃতীয় উইকেট আসে রুবেল হোসেনের স্থলাভিষিক্ত সাইফ উদ্দিনের হাত ধরে। তরুণ পেসারের সোজা বোল্ড হয়ে যান ১৯ রান করা স্যামুয়েলস।

বিপজ্জনক শেমরন হেটমায়ার চলতি সফরে ৬ষ্ঠবারের মতো মিরাজের শিকার হয়ে 'ডাক' মারেন। তরুণ স্পিনারের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে চতুর্থ শিকার হন রোভম্যান পাওয়েল (১)। এর মাঝেই সাইফউদ্দিনের একটি বল মুশফিকের পেছনে মাটিতে রাখা হেলমেটে রাখলে পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান পায় সফরকারীরা। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব সাকিব আল হাসানের।

বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারের ঘূর্ণিতে সীমানর ওপর থেকে রোস্টন চেইসের (৮) দুর্দান্ত ক্যাচ নেনে সৌম্য সরকার। এই ঘূর্ণি তারকার দ্বিতীয় শিকার এক ছক্কায় ৬ রান করা অ্যালান।

অধিনায়ক মাশরাফির দারুণ এক ডেলিভারিতে পলের (১২) লেগস্টাম্প উড়ে যায়। অধিনায়কের দ্বিতীয় শিকার কেমার রোচ (৩)। রিভিউ নিয়েও এলবিডাব্লিউডের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি এই পেসার। দলের ৯ উইকেট পতনের পর দেবেন্দ্র বিশুকে সঙ্গী করে সেঞ্চুরি তুলে নেন শাই হোপ। সাকিব আল হাসানকে ছক্কা মেরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিন অংক স্পর্শ করতে হোপ খেলেন ১২১ বল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।

৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৮ রানে শেষ হয়  উইন্ডিজের ইনিংস। বল হাতে মাত্র ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি এবং সাকিব। ১টি উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!