নিজেদের মাঠেও কুমিল্লার কাছে পাত্তা পেলনা সিলেট

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৯:৫৩ পিএম
নিজেদের মাঠেও কুমিল্লার কাছে পাত্তা পেলনা সিলেট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ব্যাটসম্যানদের আত্মসমর্পণের পর বল হাতে পাত্তা পেলনা সিলেট সিক্সার্সের বোলাররা। ফলে ৫৩ বল হাতে রেখে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে তৃতীয় জয় তুলে নিল কুমিল্লার দলটি। এক ওভারে ৩ উইকেটসহ ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করা মেহেদী হাসান পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।

সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ৬৮ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১১.১ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৮ উইকেটের এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসল আফ্রিদি-তামিম-ইমরুলরা।  

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতেই শূন্য হাতে রানআউট হন এনামুল হক বিজয়। নিজের নামের পাশে কোনও রান যোগ না করেই পাকিস্তানি সোহেল তানভিরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। তবে দারুন এক জুটি গড়ে চিন্তার পড়া কুমিল্লাকে জয় এনে দেন শামসুর রহমান শুভ (৩৪) আর ইমরুল কায়েস (৩০)। তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে ৮ উইকেটের বড় জয় এনে দেন তারা।

এর আগে নিজেদের ঘরের মাঠে সিলেট সিক্সার্সের ১১ জন মিলেও স্কোর বোর্ডে শত রান জমা করতে পারেনি। শুধু অলক কাপালির ব্যাট থেকে আসল ৩৩ রান। আর চার ব্যাটসম্যান আউট হলেন শূন্য রানে। বাকি ছয় জন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না। ফলে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রানে থেমে গেল সিলেটের রানের চাকা।

সিলেটের পক্ষে একমাত্র অলক কাপালি ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন তিনি। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ০, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ৪, লিটন কুমার দাস ৬, আফিফ হোসেন ০, নিকোলাস পুরান ০, সাব্বির রহমান ৬, সোহেল তানভির ৫, তাসকিন আহমেদ ৪, নাবিল সামাদ চৌধুরি ০ ও আল-আমিন হোসেন ৫ রান করেন।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে ১৬তম ম্যাচে টস জিতে সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাটিংয়ে নেমেই বড়সড় ধাক্কা খায় স্বাগতিক দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরপর ৩টি উইকেট হারায়। বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই কারিশমা দেখান মেহেদী হাসান।

ওভারের দ্বিতীয় বলেই আন্দ্রে ফ্লেচারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান এই অফ স্পিনার। মাত্র এক বলের ব্যবধানে সিলেটের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে বিদায় করেন মেহেদী। পরের বলে আফিফ হোসেনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ফলে এক ওভারে ৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান।

এরপর নিজের প্রথম ওভারেই নিকোলাস পুরানের উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মাদ সাইফ উদ্দিন। ফলে মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় সিলেট সিক্সার্স। সেই বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন ওপেনার লিটন দাস। লিয়াম ডসনের বলে ওহাব রিয়াজের তালুবন্দি হয়ে ফেরনে তিনি। এদিনও সুবিধা করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িক নিষদ্ধ সাব্বির রহমান। ডসনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। মেহেদী হাসানের চতুর্থ শিকার হন পাকিস্তানি সোহেল তানভির।

ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে যান জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া সিলেটের ক্রিকেটার অলক কাপালি। অষ্টম উইকেটে পেস বোলার তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন কাপালি। এরপর ওয়াহাব রিয়াজের এক ওভারেই ফেরেন তাসকিন ও নাবিল সামাদ।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা পেস বোলার আল-আমীন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়া থেকে বাঁচান কাপালি। দশম উইকেটে তাদের ২১ রানের ‍জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট।

কুমিল্লার পক্ষে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান। এছাড়া ২.৫ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Link copied!