পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স!

  • বিচিত্র সংবাদ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০১৭, ০৯:২০ পিএম
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স!

ঢাকা: আইনের কাছে গোপনীতা অনেক সময় তুচ্ছ হয়ে যায়। স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ঘটনাও তেমনি। তবে এটা সাধারণত গোপনই করা হয়ে থাকে। তবে ভারতে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। পণের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ‘শায়েস্তা’ করতে শেষ অবধি সংবাদপত্রে বিয়ে বিচ্ছেদের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন স্বামী।

দিল্লির হায়দরাবাদের মহম্মদ মুস্তাকউদ্দিন কাজের সূত্রে থাকনে সৌদি আরবে। সেখানকার একটি ব্যাংকের কর্মী হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ সালে হায়দরাবাদেরই এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ১০ মাসের মেয়েও আছে।

পুলিশ বলছে, বিয়ের পর থেকেই ২০ লাখ টাকা পণ দাবি করে স্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন মুস্তাকউদ্দিন। বেশ কিছুদিন আগে সপরিবারে তিনি সৌদি আরব থেকে হায়দরাবাদে ফিরেছিলেন। দেশে ফেরার পর থেকেই পণ নিয়ে স্ত্রীর ওপর আবারো চাপ সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। নিরূপায় হয়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান মুস্তাকউদ্দিনের স্ত্রী।

এ ঘটনার পরেই স্ত্রীকে কিছুই না জানিয়ে পত্রিকায় তালাকের বিজ্ঞাপন দিয়ে সৌদি আরবে চলে যান মুস্তাকউদ্দিন। এরপর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

গেল ৪ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত তালাকের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে মুস্তাকউদ্দিনের স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতে চান শ্বশুরবাড়ি। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। পরে তিনি পুলিশকে জানান, শ্বশুরবাড়িতে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি স্বামীর কাছে ফিরতেও তাকে বাধা দেয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা এস গঙ্গাধর জানান, শরিয়ত আইনে এ ধরনের কোনো নিয়ম বা বিধান আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে হায়দরাবাদেরই এক বাসিন্দা হোয়াটঅ্যাপে স্ত্রীকে তিন তালাক পাঠিয়েছিলেন। পোস্ট কার্ডে স্ত্রীকে তিন তালাক পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে এর আগে। তবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তালাক দেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

সোনালীনিউজ/এন

Link copied!