দ্বিতীয় বিয়েতে ইচ্ছুক নারীদের টার্গেট করেই তিনি কোটিপতি

  • বিচিত্র ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০১৮, ০৪:৪৯ পিএম
দ্বিতীয় বিয়েতে ইচ্ছুক নারীদের টার্গেট করেই তিনি কোটিপতি

ঢাকা: পরিবহন ব্যবসা ভালো চলছিল না। বিকল্প ব্যবসা হিসেবে তাই বড়লোক বিধবা এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া নরীদের বিয়ে করা শুরু করেছিলেন ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলার ভেল্লালোরের বাসিন্দা বি পুরুষোত্তমন। গত ৮ বছর ধরে এমন ৮ জন নারীকে বিয়ে করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছিল ৫৭ বছরের পুরুষোত্তমন।

কিন্তু ফের বিধাতা পুরুষের বক্র দৃষ্টির শিকার হয়েছে পুরুষোত্তমন। তার চতুর্থ স্ত্রী, চেন্নাইয়ের অধ্যাপক ইন্দিরাগান্ধীই প্রথম স্বামীর নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই পুরুষোত্তমনের ৮টি কুকীর্তির কথা সামনে আসে। 

ইন্দিরাগান্ধী পুলিশকে জানিয়েছেন, পুরুষোত্তমন তাকে বলেছিলেন, তিনি যেন তার চেন্নাইয়ের বিলাসবহুল বাড়িটি বিক্রি করে দেন, যাতে তারা কোয়েম্বাটুরে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করতে পারেন। সেই মতো দেড় কোটি টাকায় বাড়ি বিক্রি করে পুরো টাকাটাই স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ইন্দিরাগান্ধী। তারপর থেকেই ফেরার পুরুষোত্তমন। এরপরই পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার আগে আরও তিনজনকে এবং পরে আরও চারজনকে বিয়ে করেছিল পুরুষোত্তমন। তাদের কাছ থেকেও প্রচুর অর্থ হাতিয়েছিল সে। 

কোয়েম্বাটুর পুলিশ তার তিন স্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে। তার সপ্তম স্ত্রী কুমুদাবল্লী অভিযোগ করেছেন, পুরুষোত্তমন তাকে বলেছিল, জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় তার ১৭ কোটি টাকা আটকে আছে। সমস্যা মেটাতে তার কিছু টাকার প্রয়োজন। স্বামীর প্রবোধবাক্যে ভুলে কুমুদাবল্লী তার কৃষিজমি বিক্রি করে ৩ কোটি টাকা দেয় পুরুষোত্তমনকে। তারপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় পুরুষোত্তমন। 

পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পেরেছে, কোয়েম্বাটুরের গান্ধীপুরমে ট্রাক পরিবহন ব্যবসা ছিল পুরুষোত্তমনের। তার স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। বাড়িতে তার বৃদ্ধা মা এবং ১৮ বছরের মেয়ে রয়েছে। পরিবহন ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় বিয়ে করে বড়লোক বিধবা এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর ছক কষেছিল সে। 

এ ব্যাপারে তার সহায়ক ছিল কোয়েম্বাটুরের একটি পাত্রপাত্রী সংস্থার দুটি কর্মী মোহন এবং বনজা। তারাই পুরুষোত্তমনকে এ ধরনের নারীর খোঁজ দিতেন, যারা দ্বিতীয় বিয়েতে ইচ্ছুক। তাদেরকেও খুঁজছে পুলিশ। তারপরই রূপবান এবং বাকচতুর পুরুষোত্তমন নিজের রূপ এবং কথার জালে ভোলাত ওই নারীদের। 

এভাবেই সবিতা, ঊষারানি, বিমলা, ইন্দিরাগান্ধী, শান্তিনী, চিত্রা, কুমুদাবল্লী এবং সুশীলাকে বিয়ে করেছিল পুরুষোত্তমন। নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়াতে কয়েকটি বিয়ে নথিভুক্তও করেছিল সে। প্রতারক পুরুষোত্তমনের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র- অনলাইন

সোনালীনিউজ/জেএ               

Link copied!