বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় আবারও শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার–এ প্রকাশিত সূচকে শহরটির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩৬৮, যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণিতে পড়ে।
একই তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। শহরটির স্কোর ২৪৫, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের আরেক মহানগর কলকাতা, যার স্কোর ২৫৬। চতুর্থ স্থানে উজবেকিস্তানের তাশখন্দ (স্কোর ২১০) এবং পঞ্চম স্থানে চীনের চেংদু (স্কোর ১৯৬) অবস্থান করছে।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
শরীরের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ ২০১–৩০০ স্কোরের পর ৩০১–৪০০ সীমায় বায়ুদূষণ আরও গুরুতর হয়ে পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাইরে কম বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বস্তুকণা (পিএম২.৫ ও পিএম১০), নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ও ওজোনের ঘনত্ব দেখে একিউআই নির্ধারণ করা হয়। বায়ুদূষণ সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর হলেও শিশু, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বায়ুদূষণের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, সিওপিডি ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় দূষিত বায়ুতে দীর্ঘসময় থাকার ফলে।
এম
আপনার মতামত লিখুন :