• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে রাস পূর্ণিমায় যেতে পারবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৬, ২০২০, ১২:০৬ পিএম
সুন্দরবনে রাস পূর্ণিমায় যেতে পারবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রতি বছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এসব পথে যাতায়াতকারীদের জানমালের নিরাপত্তায় বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহলদল নিয়োজিত থাকবে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

অনুমোদিত পাঁচ পথ হলো- বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল ধরে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর এবং বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

পূর্ণিমা পুণ্যস্নানে কেবল ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুমতি দেয়া হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্কবিহীন কোনো তীর্থযাত্রীকে পূণ্যস্নানের স্থলে যেতে দেয়া হবে না। অনুষ্ঠান স্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াস রাখা হবে।

দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের প্রবেশের সময় পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত পথের একটি মাত্র পথ পছন্দমতো ব্যবহার এবং দিনের বেলা চলাচল করতে পারবেন। বন বিভাগের চেক পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে।

রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু বহন, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো এবং বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোন অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, হরিণ মারার ফাঁদ, কুড়াল ও দড়ি বহন করা থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সব সময় টোকেন ও টিকিট নিজের সাথে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে অনুষ্ঠানের জায়গায় কন্ট্রোল রুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে। তথ্য-ইউএনবি

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!